এই মুহূর্তে জেলা

পঞ্চায়েতে বাংলার মানুষ কাকে নিশ্চিহ্ন করে সেটা সময় বলবে, শ্রীরামপুরে দিলীপ।

হুগলি, ৩০ এপ্রিল:- শ্রীরামপুর নাগরিক মঞ্চের আহ্বানে মাহেশ সুরকি ঘাটে গঙ্গা আরতি ও ভজন সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। দিলীপ ঘোষ বলেন,পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য করার চেষ্টা গতবারও করেছিলেন ওরা তার ফল ২০১৯ সালে তার প্রতি উত্তর পেয়েছিলেন।এবারও চেষ্টা করে দেখুন বাংলার মানুষ কাকে নিশ্চিহ্ন করে সেটা সময়ই বলবে। তৃণমূল দলটাই তো লোকাল পার্টি হয়ে গেছে। টিএমসি আমাদের কোন শাখা নাই, এই ব্যানারই লাগবে এখন। এখনো অভ্যাসটা যায়নি অখিল ভারতীয় তৃণমূল সর্বভারতীয় তৃণমূল মন্ত্রী লেখা হচ্ছে স্বপ্ন দেখতে আপত্তি নেই, মাও কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন দেয় আমরা দেখেছি। আরো সাধারণ হয়ে যাবে। কত বড় বড় নেতা ছিলেন তিহারে এখন জল চেয়ে খেতে হচ্ছে। অসাধারণ এখানে চলবে না। সাধারণ মানুষের অবস্থা যা চলেছে অসাধারণ কে টিকবে এখানে। কোটি কোটি টাকা খরচা করে সাধারণ মানুষ হওয়া যায়!

একদিনে একটা তাঁবুর ভাড়া ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে তারপর খাওয়া দাওয়ার কথা আমি বলছি না এরপরও সাধারণ মানুষ। আমি জানিনা চশমার দাম কত জুতোর দাম কত জামার দাম কত বাড়ির দাম কত হিসাব করুন। সাধারণ মানুষ তো রাজ্যের ৮ কোটি মানুষ যারা মোদীর দেওয়া দু টাকা কিলো চাল খাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে পুরো শক্তি নিয়ে লড়াই হবে, পরিবর্তন করব। রাহুল সিনহা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভয় পাচ্ছে। এত ব্লক হওয়ার পরেও অভিষেক ব্যানার্জি যেখানে ভোট করেছে ওদের নিজেদের মধ্যে সেখানেই ব্যালট লুট।হবে না কেন প্রথম থেকে এরাই তো শিখিয়েছে বিরোধীদের ব্যালট লুট কর এখন নেশা পেশা দাঁড়িয়ে গেছে। সেই কারণে যেখানে ব্যালট দেখে ইভিএম দেখে সেখানে লুট শুরু করে তৃণমূলের লোকেরা। যে কারণে কোনটা নিজেদের কোনটা পরের সেই বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এই পার্টির শৃঙ্খলা বিশ্বাস যোগ্যতা নেই।পার্টির রাস এখন মমতা ব্যানার্জির হাতেও নেই অভিষেক ব্যানার্জির হাতেও নেই। এখন তো দেখে বোঝা যাচ্ছে অভিষেক ব্যানার্জীর অসহায় অবস্থা। এত আবেদন নিবেদন হুমকির পরেও একের পর এক ব্যালট লুটের ঘটনা ঘটছে।