এই মুহূর্তে জেলা

২০২১ এর মতো বিজেপিকে জবাব দিতে হবে, হুঁশিয়ারি কল্যাণের।

হাওড়া, ৩০ এপ্রিল:- আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই ঘর গোছাতে নেমে পড়ল তৃণমূল। রবিবার বিকেলে ডোমজুড়ের প্রাচ্য ভারতী স্টেডিয়ামে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এক বুথভিত্তিক কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় কুণাল ঘোষ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ ঘোষ প্রমুখ নেতৃত্ব এদিন বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। সিপিএমের বিরুদ্ধেও সরব হন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি কোনও ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেনা। তাই ওরা কুৎসা করে চাপিয়ে দিতে চাইছে। সিপিএমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন যতবার ভোট করবে ততবার সিপিএম হারবে। নন্দীগ্রামে এদিনের সভা ফ্লপ হয়েছে বলেও কুণাল ঘোষ দাবি করেন। কুনাল ঘোষ এদিন আরও বলেন, বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রচারে এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষ তখন বুঝবে, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারকে দরকার। মমতার রান্নাঘরে দু’একটা পচা আলু যেগুলো ছিল সেগুলো মমতা জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে।

আর বাইরে অমিত শাহ, শুভেন্দুরা সেগুলো বাইরে থেকে নিয়েছে। কাঁথির মেজো খোকা আজকে সভা ডেকেছিল। সেই সভা আজকে ফ্লপ হয়েছে। নন্দীগ্রামে ওদের পায়ের তলার মাটি সরছে। তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটা শক্তি যারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একমাত্র মোকাবিলা করতে পারে। তবে হ্যাঁ শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা বলবো তা নয় সিপিএমকেও মানুষ যেন ভুলে না যায়। সিপিএমের সেই অত্যাচারের দিনগুলোর কথা। এখন লাল ঝান্ডা হাতে যাদের দেখা যাচ্ছে ওরাই তো বুথে বুথে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেবে। আগে ওরা নিজেদের ভোট ফিরে পাক তারপরে ওরা লড়াই করতে আসবে। এদিনের সভায় ড: শশী পাঁজা বলেন, বুথ কর্মীদের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। ধর্মীয় আবেগকে নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে। রামনবমীর মিছিল এই সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে। ধর্মীয় মিছিলে বন্দুক নিয়ে যারা যাচ্ছে এই ধর্মীয় আবেগ নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলকে বদনাম করে মমতাকে শেষ করা যাবেনা। বিজেপিকে কিভাবে হারাতে হয় সেটা আপনারা দেখিয়ে দিয়েছেন ২০২১ সালে। সেইভাবেই বিজেপিকে হারিয়ে নির্বাচন করতে হবে।