কলকাতা, ২৮ মার্চ:- জঞ্জাল অপসারণে ভালো কাজ করার জন্য রাজ্যের সাতটি পুরসভা বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে উৎসাহ ভাতা পাচ্ছে। ওই টাকা সংশ্লিষ্ট পুরসভা গুলি তাদের জঞ্জাল অপসারণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো আরো মজবুত করে তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে হুগলির চাপদানি এবং ভদ্রেশ্বর, নদীয়ার শান্তিপুর এবং চাকদা উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া পুরসভা এই বরাদ্দ পাচ্ছে। এর পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে উৎসাহ ভাতা পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই পুরসভা গুলিকে সবমিলিয়ে মোট ১১ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে বিশ্ব ব্যাংক। কঠিন ও তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে পশ্চিমবঙ্গ। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে ওই তহবিল গড়া হচ্ছে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ওই তহবিল থেকে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় খামতি দূর করার জন্য অর্থ ব্য়য় করা হবে।পরিবেশ আদালতে রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী রাজ্যের ১২৫টি পুর এলাকা মিলিয়ে দৈনিক ১৩৪৬৯.১৯ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। তার মধ্যে সংগ্রহ ও ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া জঞ্জালের পরিমাণ দৈনিক ১৩৩৭২.৩২ টন। কিন্তু ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া আবর্জনা পরে কী করা হয়, সেটা স্পষ্ট করে রাজ্য জানায়নি। তবে তার বেশির ভাগেরই প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না বলে আদালত মন্তব্য করেছিল। কারণ, রাজ্যের তথ্যই জানিয়েছে, দৈনিক উৎপন্ন হওয়া মোট জঞ্জালের মধ্যে মাত্র ৩০৪৭ টনের প্রক্রিয়াকরণ হয়। বাকি ১০৪২২.১৯ টনের প্রক্রিয়াকরণ হয় না।দৈনিক ১৪৯ কোটি লিটার তরল বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণের বন্দোবস্ত নেই।নতুন তহবিল থেকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্বৃত্ত বর্জ্য পরিশোধনের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।