কলকাতা, ২৪ মার্চ:- সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যর চাকরি নিয়ম মেনে হয়নি বলে আগেই অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে কি না তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, সিপিআইএম কাজ না করে বড় বড় কথা বলা, কুৎসা করে। ‘সিপিএম রাজনৈতিক দল নয়, স্বভাব’ বলেও মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু। এদিন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি কীভাবে হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি জানতাম না সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী দীনবন্ধু অ্যান্ড্রিউজ কলেজে চাকরি করতেন।
সম্প্রতি তৃমণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি সামনে এনেছেন। তবে এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কি হবে না সেই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ব্রাত্য বসু আরও বলেন, ১৯৮৭ সালে মিলি দেবী চাকরিতে জয়েন করেছেন। ২০২১ সালে তিনি অবসর নিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জীর সরকারের মাইনে পেয়েছেন এখনও পেনশন নিচ্ছেন মমতা বনন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। অতএব তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি সিপিএমের সময় বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, সিপিএমের সময় নিয়োগ দুর্নীতির বীজ বপন হয়েছে, সেই সময়ের ঘটনাগুলিকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি তোলেন শিক্ষামন্ত্রী।