হুগলি, ১৬ মার্চ:- ইজারার টাকা চুঁচুড়া পুরসভাকে দেওয়ার পরও জেটির জন্য আলাদা ভাড়া দিতে হচ্ছে ওপারের এক বালি ব্যবসায়ী মনোজ দাসকে। এমনই অভিযোগ চুঁচুড়া তামলিপাড়া ফেরি ঘাটের ইজারাদার বিজয় কাহারের। বিষয়টিকে ‘তোলা’ হিসেবেই দেখছেন তিনি। এবিষয়ে তিনি পুরপ্রধান ও সদর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। চুঁচুড়া তামলিপাড়া ঘাটের ওপারে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বৈষ্ণব ঘাট। প্রতিদিন এই ঘাট থেকে বহু স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। গত বছর অগষ্ট মাস থেকে তিন বছরের জন্য তামলিপাড়া গঙ্গা ফেরি সার্ভিসের ইজারা পান উত্তরপাড়া-কোতরং এর বাসিন্দা সুদীপ্ত দে। ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’-র মাধ্যমে সুদীপ্তর কাছ থেকে সেই ঘাটের দায়িত্ব পান চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিজয় কাহার। প্রথম থেকে মাসিক আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘাট চালিয়ে আসছেন বিজয়।
তবে বিজয়ের অভিযোগ, প্রথম থেকেই ও পাড়ের এক প্রভাবশালী বালি ব্যবসায়ী মনোজ দাস প্রতি মাসে জেটি ভাড়া বাবদ ষাট হাজার টাকা করে নিয়ে যাচ্ছেন। বিজয় জানান, ওই ঘাটে থাকা জেটি মনোজ নিজের বলে দাবি করেছেন। কিন্তু পুরসভার চুক্তিতে সেটা উল্লেখ নেই। তাই তিনি প্রথমে জেটি ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছিলেন। টাকা না দিলে বলপূর্বক জেটি খুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি আসার পরই প্রতি মাসের সেই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিজয়ের দাবি। তিনি বলেন, “আমার মতে জেটি দেখিয়ে তোলা তুলছেন মনোজ। তাহলে রসিদ কেন দেবেন? বিজয়ের জবাব, রসিদ আমি চেয়ে নিয়েছি। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিজয়কে। এ ভাবে বেশিদিন ঘাট চালানো সম্ভব হবে নয় বলে জানান তিনি। সেক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হবে অনেকেই। পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, আমরা ইজারা দিয়েছি। ইজারা বাবদ পুরসভা টাকা পাচ্ছে। তবে জেটির জন্য কে, কাকে, কেন ভাড়া দেবে জানি না। এবিষয়ে সদর মহকুমা শাসককে জানিয়েছি।