হুগলি, ২৪ ফেব্রুয়ারি:- আর্থিক অসচ্ছলতা, নেই গৃহ শিক্ষক,স্কুলে যেতে সাহায্য নিতে হয় অন্যের, প্রতিবন্ধকতা অনেক, তবে মনের জোরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পোলবার মহসিনা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় অনেকেই। দু পায়ে হাঁটতে পারেনা সে। হাঁটু দিয়ে হাঁটে, তার লড়াইটা একটু অন্যরকম। পোলবার কাশ্বারার বাসিন্দা মহসিনা খাতুনের যখন ছয় বছর বয়স হঠাৎই একদিন জ্বর সর্দি হয়। চিকিৎসা করালেও পুরো সুস্থ হয়ে ওঠেনি সে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বাবা একটি কারখানার শ্রমিক, মা পরিচারিকার কাজ করে যতটুকু উপার্জন করে তা দিয়ে কোনরকমে চলে সংসার। মেয়ের ভালো চিকিৎসা করাতে পারেননি। তবে মেয়ের পড়াশোনার জন্য কোনদিনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তার বাবা-মায়ের আর্থিক অসচ্ছলতা।
তারা উৎসাহ জুগিয়েছে মেয়েকে। নিজের জেদ আর লড়াই করে নিজেকে তৈরি করেছে মহসিনা। আলিনগর ইয়াসিন মন্ডল শিক্ষানিকেতন স্কুলে পড়াশোনা করে। সে জানায়, মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তার মা ইসমাতারা বিবি জানান, পরীক্ষার জন্য কোন শিক্ষকও দিতে পারেনি পরিবার, নিজেই পড়াশোনা করে আজ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে। মেয়েকে দেখে আমাদের কষ্ট লাগে তবুও চাই ও নিজের পায়ে দাঁড়াক। স্কুলের সভাপতি তানসেন আলী মন্ডল জানান, তার প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় যেন সফলভাবে উত্তীর্ণ হয় এবং সরকারিভাবে যদি সাহায্য করা যায় সেটাও আমরা দেখব।