কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি:- আন্দোলনের নামে সম্পত্তি ভাঙচুর, লুট বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা আটকাতে আরও কঠোর হচ্ছে রাজ্য। আইন পরিবর্তন করে সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি নাগরিকদের সম্পত্তিহানি আটকানোর ওপরেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার আইনের একটি সংশোধনী মঙ্গলবার বিধানসভায় আনা হয়। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিল পেশ করে বলেন, কিছু অসামাজিক ব্যক্তি নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বা আন্দোলনের নাম করে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্টের ঘটনা ঘটায়। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেটাতে অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উপযোগী সংশোধনী আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট আটকাতে আইন আগেই ছিল। নতুন আইনে বেসরকারি সম্পত্তি নষ্টের বিষয়টিও যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারি হোক বা বেসরকারি আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম সরকার কখনোই বরদাস্ত করবে না। সংশোধনীতে বলা হয়েছে এই ধরনের সম্পত্বহানির ঘটনায় আদালতের নির্দেশ ক্রমে সরকার ওই ঘটনায় দোষী ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে। দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে ওই সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করানো হবে। পরে দেওয়ানী আদালতের নির্দেশ ক্রমে ওই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি বা সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এজন্য একটি পৃথক তহবিল গঠন করার কথাও বলা হয়েছে।