এই মুহূর্তে কলকাতা

পরীক্ষায় স্বাস্থ্য দপ্তরকেও জড়িয়ে নিলো এসএসসি।

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি:- এসএসসির মতো রাজ্যে কোনও নিয়োগ নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে কোনও রকম অভিযোগ না ওঠে তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার স্বাস্থ্যদফতরের চিকিৎসক ও কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড বা স্বাস্থ্য নিয়োগ পর্ষদ আট পর্যায়ে নজরদারির ব্য়বস্থা চালু করেছে। যার প্রথম পর্যায়ে থাকছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ-রা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে থাকছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র প্রফেসর পদমর্যাদার কোনও পেশাদার। এছাড়া ইন্টারভিউ বোর্ডে নিয়োগ সংস্থার সদস্যের মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থীদের। একেবারে নীচের স্তরের কর্মী থেকে ডাক্তার পর্যন্ত যে কোনও নিয়োগের প্রথম পর্বেই, অনলাইনে গৃহীত সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখা হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গেছে। প্রার্থীদের কোনও নথিপত্র নিয়ে সন্দেহ হলে আবেদনকারীকে ত্রুটিমুক্ত নথি ১০ দিনের মধ্যে পেশ করতে বলা হচ্ছে। ইন্টারভিউতে এইসব পেশাদারের মুখোমুখি হওয়ার পর প্রকাশিত হচ্ছে প্যানেল। এই বিষয়ে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় ইন্টারভিউ ছাড়া সবটাই হচ্ছে অনলাইনে।

নথি যাচাই পর্বে বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সমস্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই দেখছেন। কার কাছে, কোন অংশে যাচ্ছে, কেউ জানেন না। ইন্টারভিউ পর্বে ছাড়া থাকছেন অন্য পেশাদারও। দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই কড়াকড়ি। পুরনো বোর্ডের সঙ্গে এই বোর্ডের ফারাক প্রধানত দুটি। এক, পরীক্ষা ব্যবস্থা সেই সময় অনলাইনে চালু হলেও নানা কারণে তা পুরোপুরি করা যায়নি। দুই, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিনিয়র বিশেষজ্ঞ থাকতেন না। সিনিয়র বিশেষজ্ঞ থাকায় লাভও হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ হিসাবে কোনও প্রার্থীর শিক্ষক কিংবা একই কলেজের সিনিয়র হলে পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কা থাকে। এই অনিয়ম রুখতে বাকি দু’জন রক্ষাকবচ হতে পারেন। উপস্থিত তিনজনই চেনা বেরনোর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। তাছাড়া নম্বরের ভাগাভাগি এমনভাবে থাকে যে, কোনও সুনির্দিষ্ট প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব অথবা বঞ্চনা দু’টিই করা বেশ কঠিন। কারণ, নথি এবং যোগ্যতা সংক্রান্ত কাগজপত্রেই থাকে ৮৫ নম্বর। বাকি ১৫ নম্বরের মধ্যে বিশেষ বিশেষজ্ঞের হাতে থাকে ৫ নম্বর। বাকি ১০ নম্বর সম্মিলিতভাবে থাকে বোর্ডের সদস্য ও সিনিয়র অধ্যাপক বা বিশেষজ্ঞের হাতে। প্রার্থীর সন্দেহ দূর করতে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশ হার বোর্ডের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।