কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি:- দক্ষিণ শহরতলীর ৩ পৌরসভা মিলিয়ে পুরো নিগমের পরিকল্পনা রাজ্যের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের অন্তর্গত দক্ষিণ শহরতলীর তিন পুরসভা মহেশতলা, বজবজ ও পূজালিতে জল সরবরাহ ব্যবস্থার মান উন্নয়নে ৩২৮ কোটি ১১ লক্ষ টাকা খরচে একটি পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এতে ওই ৩ পুর এলাকার অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলা, বজবজ ও পুজালিতে মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৭১। ওই তিন পুরসভায় জনসংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই ৩টি পুরসভা মিলিয়ে একটি পুরনিগম গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানকার নাগরিক পরিষবার পরিকাঠামো উন্নত করে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনিতেই এই ৩টি পুরসভা এলাকায় নিত্যনতুন বহুতলের সংখ্যা বেড়ে চলেছে উল্লেখযোগ্য হারে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা না করার উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে বড়সড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ১০ লক্ষ মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণ করার মতো পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৪ কোটি গ্যালন জল শোধনের পরিকাঠামো তৈরি হবে সেখানে। তিনটি পুরসভা এলাকা মিলিয়ে মোট ৩৬ কিলোমিটার পাইপলাইন পাতা হবে জল সরবরাহের জন্য। এর পাশাপাশি মহেশতলায় মাটির নিচে তৈরি হবে ৭ লক্ষ গ্যালন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি জলাধার। বজবজে হবে ২০ লক্ষ গ্যালনের ভূগর্ভস্থ জলাধার। এছাড়াও ৭ লক্ষ গ্যালনের একটি ওভারহেড জলাধার তৈরি হবে বজবজে। কাজগুলি করবে কেএমডিএ। প্রসঙ্গত, মহেশতলা, বজবজ ও পূজালি, এই তিনটি পুরসভার মধ্যে গত কয়েক বছরে ফ্ল্যাট এবং বহুতল সবচেয়ে বেশি গড়ে উঠেছে মহেশতলায়। কিন্তু যে তুলনায় এই এলাকায় জনসংখ্যা বেড়েছে সেই তুলনায় বাড়েনি নাগরিক পরিকাঠামো। ফলে সমস্যা হচ্ছিলই। সেই সঙ্গে ধাক্কা লাগছিল এলাকার উন্নয়নও। কিন্তু এখন রাজ্য সরকারে জলের সমস্যা দূর করতে সচেষ্ট হওয়ায় সেখানকার উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় এই ৩টি পুরসভা এলাকা মিলিয়ে আগামী দিনে কবে এখানে একটি পুরনিগম গড়ে ওঠে। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ১টি এবং হুগলি শিল্পাঞ্চলে ২টি পুরনিগম গড়ে তোলার কথা। সেই সময়েই মহেশতলা, বজবজ ও পূজালি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার। খুব দ্রুত কিছু হবে না। তাই আপাতত নাগরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।