এই মুহূর্তে জেলা

ভালো কাজের স্বীকৃতি, স্বাস্থ্য কর্মীদের “ডেঙ্গু সেনানী সম্মাননা” পুরস্কার দিল হাওড়া পুরসভা।

হাওড়া, ৪ জানুয়ারি:- ডেঙ্গুর কাজে নিযুক্ত পুর স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে থেকে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ “ডেঙ্গু সেনানী সম্মাননা” পুরস্কার প্রদান করা হলো। হাওড়া পুরনিগমের তরফ থেকে বুধবার শরৎ সদনে ওই সম্মাননা ট্রফি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রাজ্যের হেলথ অফিসার ডাঃ এস কে শর্মা, পুর প্রশাসকমন্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন দেবাংশু দাস, পুর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য বাপী মান্না, মনজিৎ র‍্যাফেল, ডেপুটি কমিশনার ২ অর্ণব রায়, হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিতাই চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ। এদিনের অনুষ্ঠানে পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করেছি। প্রথমবার এই বছর সবচেয়ে কম ডেঙ্গু হয়েছে ২১, ২২, ৩২ নং ওয়ার্ডে। সবচেয়ে বেশির কেস এসেছিল ১৫, ১০, ১১ নং ওয়ার্ডে। এইসব ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মীরা খুব ভালো কাজ করে ডেঙ্গুর গ্রাফ কমাতে সক্ষম হয়েছেন। ১৬ নং ওয়ার্ডও ভালো কাজ করেছে। প্রত্যেক স্বাস্থ্য কর্মীদের ধন্যবাদ।

আপনারা আরও ভালো করুন প্রতি বছর। এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতেই এই উইনার্স ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে সুজয়বাবু জানান, যে সকল ওয়ার্ডে ২০২২ এর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডেসেম্বর এই এক বছরে সবচেয়ে কম ডেঙ্গু কেস হয়েছে সেই সকল ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কর্মী, কনজারভেন্সি, ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের কর্মীদের দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু সেনানী সম্মাননা ট্রফি পুরস্কার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২১, ২২, এবং ৩২ নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু কেস কম হয়েছিল ৬-৮টা। এই ৩টি ওয়ার্ডকে টিম হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর সঙ্গে বেস্ট ফাইটাররের পুরস্কার দেওয়া হয় ১০, ১১ এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের কর্মীদের। মূলত কর্মীদের কাজে মোটিভেশন করার জন্যই এই পুরস্কার। এর আগে এমন পুরস্কার দেওয়া হয়নি। সব কর্মীরাই কাজ করেছে। তবে যে ওয়ার্ডের কেসের সংখ্যা কম সেই দেখেই মান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি টিমকে একটা ট্রফি, একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। সেই ব্যাগে ছিল চকলেট এবং তাঁদের কাজের ব্যবহার্য জিনিসপত্র।