এই মুহূর্তে কলকাতা

মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার সাগরে মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা, ৩ জানুয়ারি:- গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে দু দিনের সফরে বুধবার গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন হাওড়া থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হয়ে তিনি গঙ্গাসাগরে পৌঁছবেন। কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়া ছাড়াও তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় সেখানে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, সচিবদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে মেলা প্রাঙ্গণে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা একাধিকবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছেন।মেলার কাজে যুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী আসার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হেলিকপ্টার ওঠানামার মহড়াও হয়েছে। সব মিলিয়ে আগামিকাল, ৪ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে গঙ্গাসাগর সফরকে কেন্দ্র করে সাগর জমজমাট। মমতার আসার খবরে সাগরকে পুরোপুরি নতুন রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে তোরণ।

নতুন পিচের প্রলেপ পড়েছে বহু জায়গাতেই। মেলা প্রাঙ্গণে এখন বাঁশের খাঁচা গড়ে তোলার কাজ চলছে। হোগলা পাতার তাঁবু গড়ে তোলা হবে পুণ্যার্থীদের জন্য। পৌষ সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণে কয়েক লক্ষ পুণ্য সঞ্চয়ের আশায় ডুব দেবেন সাগর তীরে। গঙ্গাসাগরের অন্যতম আকর্ষণ কপিল মুনির আশ্রমেও পড়েছে রঙের নতুন পোচ। সাগরতীরে যাওয়ার পথে পথে দুধারে বাঁশের ব্যারিকেড বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেলিপ্যাড রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ। দমকলের গাড়ি এনে মাঠ ও বাগানে জল দেওয়ার কাজ চলছে দুবেলা। এছাড়াও প্রশাসনিক আধিকারিকরা মেলা চলাকালীন যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখছেন সবদিকে। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। তারপরে কপিল মুনি মন্দিরে পুজো দেবেন। এছাড়া, গঙ্গাসাগরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি নতুন হেলিপ্যাড ময়দানের উদ্বোধন করবেন। প্রশাসনের আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা। এবার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগরে রেকর্ড ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের। তাই এক মাস আগে থেকেই মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন।