এই মুহূর্তে কলকাতা

দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে ভারতসেরা স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র।

কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর:- সরকারি প্রকল্প এবং পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।সরকারকে এভাবে মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা আগেই প্রশংসিত হয়েছে নানা মহলে। এবার সেই দুয়ারে কর্মসূচিকেই ভারত সেরার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। আগামী ৭ জানুয়ারি রাজ্যকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই খেতাব প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প এবছর পাচ্ছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া পুরস্কার। আগামী ৭ই জানুয়ারি দিল্লিতে উপস্থিতি হবেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। আর তাঁদের হাতেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তুলে দেবেন এই পুরস্কার। স্বাভাবিকভাবেই এই পুরস্কারের কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা।প্রসঙ্গত, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কেন্দ্রের পুরস্কার পাবার আগেই আন্তর্জাতিক স্তরে ইউনিসেফের এর প্রশংসা পেয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় জায়গা করে নিল, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০২০ সালে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে সরকারি পরিষেবার সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ির কাছে পৌঁছে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, জয় জোহর, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আমজনতা এই কর্মসূচিতে এসে আবেদন জানাতে পারেন। তারপর সেই আবেদন খতিয়ে দেখে তাতে ছাড়পত্র দেয় রাজ্য সরকার।‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বহু মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে সরকারি সুবিধা পাওযার জন্য আবেদন করতে পারছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারে এই প্রকল্পই জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি আদায় করে নিল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেচে, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের আওতায় এখনো পর্যন্ত ৫ দফায় ক্যাম্প করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এবং দুয়ারে সরকার শিবির থেকে অন্তত সাড়ে ৬ কোটি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কত সংখ্যক মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ও কত সংখ্যক মানুষ সেখান থেকে পরিষেবা পেয়েছেন সেটা খতিয়ে দেখেই এই কর্মসূচিকে দেশের সেরা সরকারি কর্মসূচির তকমা দেওয়া হচ্ছে।