সুদীপ দাস, ১২ ডিসেম্বর:- লকডাউনে প্রায় চার লক্ষ টাকার দেনায় জড়িয়ে নিজের একটি কিডনিই বিক্রি করে দিয়েছিলেন কোচবিহারের যুবক। সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি সেই কিডনি বিক্রি করেন। রাজস্থানের জয়পুরের একটি নার্সিংহোমে চলতি বছর মার্চ মাসে যুবকের একটি কিডনি বের করে উত্তরাখন্ডের এক মহিলার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। গোটা প্রক্রিয়ায় যুবক শুধু চিনতেন তোলাফটকের বাসিন্দা শেখর দাসকে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেখরের সাথে পরিচয় হয়েছিল যুবকের। নদীয়ার ফুলিয়ায় তাঁতের কারিগর ছিলেন।
যুবকের স্ত্রী কোচবিহারের বাড়িতে তাঁতের গামছা তৈরি করে বিক্রি করতেন। বাবা-মা, স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। কিন্তু লকডাউনে চরম দেনায় পরে যান সে। তাই টাকার বিনিময়ে নিজের কিডনি বিক্রি করতেও পিছপা হননি যুবক। অভিযোগ চুঁচুড়ার তোলাফটকের বাসিন্দা শেখর মোট সাত লক্ষ টাকা দেবে বলেও একাধিক ক্ষেপে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেয়। কিন্তু এখনও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পায় যুবক। বাড়িতে পাওনাদারদের তাগেদার ভয়ে যুবক বিগত দু’মাস ধরে এধার-ওধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আজ তিনি চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হলেন।