এই মুহূর্তে কলকাতা

কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতায় তিন জেলায় গঙ্গা ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে , অভিযোগ মন্ত্রীর।

কলকাতা, ২২ নভেম্বর:- কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা না মেলায় রাজ্যের তিন জেলায় গঙ্গা ভাঙ্গন ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আজ তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য সমীর কুমার জানার এক অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে সেচ ও অভ্যন্তরীণ জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান গঙ্গার ভাঙনের ফলে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ সহ ফারাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং নদীয়ার গঙ্গা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ভাঙনের জেরে আরও ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কায় দিন গুনছেন। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চলতি বছর দুবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি। মুর্শিদাবাদের শমশেরগঞ্জের ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সেখানকার ভাঙ্গন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের খরচ জানতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাল্টা চিঠি পাঠানো হয়েছে। সম্ভাব্য খরচের হিসেব করে তা কেন্দ্রকে পাঠানো হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই সামশেরগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে রাজ্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে পার্থবাবু জানান। প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে। নদী ভাঙ্গন রোধে মোট ১৩ টি প্রকল্পের কাজ চলছে আরও চারটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গঙ্গা পদ্মার ভাঙ্গন সমস্যার মোকাবিলায় দলমত সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের এক জোট হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করার জন্য সেচ মন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে আমতার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকান্ত পাল রূপনারায়ণ ও মুন্ডেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে সেচ মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে একটি সার্বিক পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য সমীক্ষার কাজ চলছে।বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থ সহায়তায় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে।