এই মুহূর্তে জেলা

বিরোধীশূন্য ভদ্রেশ্বর পৌরসভা।

হুগলি, ১১ নভেম্বর:- ২০২৩-এ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার নির্বাচিত বিজেপি ও নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করায় পুরোপুরি বিরোধীশূন্য হয়ে গেল ভদ্রেশ্বর পুরসভা। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি থেকে তৃণমূলে জনপ্রতিনিধিদের এই যোগদানের ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপির। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ ভয় দেখিয়ে জোর করে বিরোধীদের তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২২ এর পুর নির্বাচনে ভদ্রেশ্বর পুরসভার ২২ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসন দখল করে শাসক দল তৃণমূল। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন বিজেপির সবিতা বেহেরা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে নির্বাচিত হন রঞ্জু রায়। এই দুই বিরোধী কাউন্সিলর শুক্রবার ভদ্রেশ্বর গেট বাজারে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন। এর ফলে ভদ্রেশ্বর পুরসভা সম্পূর্ণ বিরোধীশূন্য হয়ে গেল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে আগত সবিতা বেহেরাকে ভয় দেখিয়ে যোগদানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তিনি স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভদ্রেশ্বর পুরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলর।

বিরোধী হিসেবে কাজ করার সময় তার ওয়ার্ডে উন্নয়নের কাজে শাসক দলের পক্ষ থেকে তাকে সব রকম সাহায্য করা হত। তিনি নিজেকে কখনো বিরোধী বলে মনে করতেন না। পাশাপাশি তিনি দাবী করেন ভোটের পর থেকে তার সঙ্গে বিজেপির কোন যোগাযোগই নেই। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- তবে কি বিজেপির সঙ্গে জেলার বিভিন্ন কার্যকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব বাড়ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বক্তব্য তারা বহুদিন থেকে দলটা করে আসছেন। কিন্তু এখন দলের কাছে তাদের কোন গুরুত্বই নেই। অন্যদিকে এদিন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই কাউন্সিলরের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে বলেন পুর ভোটের ফল বেরোনোর পরের দিনই ওরা দুইজন স্ব ইচ্ছায় তৃণমূলে যোগদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস যে দলেরই নির্বাচিত প্রতিনিধি হোন না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবা প্রত্যেকের জন্য ধার্য রয়েছে। মন্ত্রী বলেন মানুষের আশীর্বাদে জয়যুক্ত হয়ে ওনারা নিজের ইচ্ছাতেই উন্নয়নের শরিক হয়েছেন। এ দিনের এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী ও চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।