এই মুহূর্তে কলকাতা

এবারের দীপাবলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল অনেকটাই কম, জানালো পরিবেশ দপ্তর।

কলকাতা, ২৫ অক্টোবর:- কালী পূজা ও দীপাবলিতে গতকাল কলকাতায় বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল অনেকটাই কম। গত ৩০ বছরের মধ্যে এবারেই দীপাবলির রাতে শহরে বায়ু দূষণ সর্বনিম্ন ছিল বলে পরিবেশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দূষণের মাত্রা গত বারের তুলনায় কম ছিল প্রায় ৪০%। বাজি পোড়ানোর হার অন্যান্য বছরের থেকে কম থাকায় এবং বৃষ্টি জনিত পরিস্থিতির কারণেই এবার দীপাবলিতে দূষণের পরিমাণ কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে কালীপুজোর রাত ১০টায় ফোর্ট উইলিয়ামে বাতাসে ভাসমান ধূলিকনার পরিমাণ ছিল ৪৯ মিলিগ্রাম। যা গতবার ছিল ১৯৪ মিলি গ্রাম বিধাননগর অঞ্চলে গতবার বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ২২৯ এমজি। এবার সেই মাত্রা হয়েছে ৩৯ এমজি। বালিগঞ্জে কালীপুজোর রাতে দূষিত ধূলিকণার মাত্রা ছিল ৫৩ এমজি। যা গতবার ছিল ১৯০ এমজি। সার্বিক ভাবে কালীপুজোর দিন বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল ১৯৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল ১৭৯ এমজি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ রিপোর্ট অনুসারে চলতি বছর কালীপুজো ও তার আগে দিন কলকাতায় দূষণ অনেক টাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেই কারণে এই বছর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অনেক কম অভিযোগ জমা পড়েছে। দূষণের মাত্রা কলকাতার থেকে বেশি ছিল হাওড়ার ঘুসুড়িতে। কালীপুজোর দিন গড়ে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল ১৯৮ এমজি।

বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল ১৭৯ এমজি। কালীপুজোর আগের দিন সকালে কলকাতার তিন স্টেশনের সকাল ও রাতে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেকে গড় ১১০ এমজি। যাদবপুরে গড় ১২৫ এমজি। রবীন্দ্রভারতীতে গড় ২৮৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল। সল্টলেকে ১২০ এমজি, যাদবপুরে ১৪০ এমজি, রবীন্দ্রভারতীতে ১৭৬ এমজি।কালীপুজোর আগের দিন সকালে কলকাতার তিন স্টেশনের সকাল ও রাতে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেকে গড় ১১০ এমজি। যাদবপুরে গড় ১২৫ এমজি। রবীন্দ্রভারতীতে গড় ২৮৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল। সল্টলেকে ১২০ এমজি, যাদবপুরে ১৪০ এমজি, রবীন্দ্রভারতীতে ১৭৬ এমজি।কালীপুজোর আগের দিন সকালে কলকাতার তিন স্টেশনের সকাল ও রাতে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেকে গড় ১১০ এমজি। যাদবপুরে গড় ১২৫ এমজি।

রবীন্দ্রভারতীতে গড় ২৮৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল। সল্টলেকে ১২০ এমজি, যাদবপুরে ১৪০ এমজি, রবীন্দ্রভারতীতে ১৭৬ এমজি।শব্দবাজি নিয়ে পর্ষদের কাছে অভিযোগের পরিমাণও এবার অনেকটাই কমেছে। পর্ষদের কাছে এই বছর মাত্র ৪৪ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে সবুজ মঞ্চের কাছে প্রায় ৭৮ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ গতবছর রাজ্য নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল প্রায় ৮৪ টি। সবুজ মঞ্চের কাছে অভিযোগ হয়েছিল প্রায় ৭৮ টি। দূষণের মাত্রা বেশি ছিল হাওড়ার ঘুসুড়িতে। কলকাতার দূষণ হার কমায় খুশি পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, মানুষ নিয়ম মেনেছেন এটাই সবচেয়ে খুশির খবর। কিছু মানুষ আইন মানেননি। প্রশাসন সেই বিষয়ে নজর রাখবে। কালীপুজো ও দীপালির মতো, ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজোতেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।