এই মুহূর্তে জেলা

না দেখলে বিশ্বাসী করবেন না, এখানে পুজিত হন সবুজ রঙের মা কালী।

সুদীপ দাস, ২১ অক্টোবর:- হুগলী জেলার সুপ্রাচীন বর্ধিষ্ণু গ্রাম হরিপাল। এই অঞ্চলে একটি ছোট জনপদ শ্রীপতিপুর গ্রাম। এই গ্রামের অধিকারী পরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ পূজিতা মা সবুজ কালী। এখানে সব চেয়ে আকর্ষণীয় ব্যপার হল মা কালির গায়ের রঙ কচি কলাপাতার মতো সবুজ। কথিত আছে ৭০ বছর আগে এই গ্রামেরই এক দরিদ্র গোড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বটকৃষ্ণ অধিকারী। বৈষ্ণব সুলভ আচরণ ছোট থেকেই জন্ম সূত্রে পেয়েছিলেন অধিকারী মশাই। তৎকালীন ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করার পর কয়েক বছর ভিন রাজ্যে চাকুরী করেন তিঁনি। তারপর ভাগ্যচক্রে আবারও গ্রামে এসে চাষাবাদ করতে শুরু করেন, সব ঠিকঠাক চলার পর এক প্রকার জোর করেই পরিবার সূত্রে আঙুরবালা দেবীর সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু সংসারে তাঁর মতি ছিল না। মাঠে ঘাটে শ্মশানে ঘুরে বেড়াতেন, এভাবে বেশ কয়েক বছর চলার পর জানা যায় কোনো এক মাঠে তিনি গরুর খুঁটি বাঁধছিলেন সেই মুহূর্তে

তাঁর পিছন থেকে এক সাদা বস্ত্র পরিহিত সন্ন্যাসী এসে বলেন শ্মশানঘাটে তোমার দীক্ষা হবে। তারপর তিনি শ্মশানে সাধনা করতে করতে সিদ্ধি লাভ করেন, এবং স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে মা কালির মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু কুলীন বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম তাঁর বাড়িতে কেউ তিলক সেবা রাধা গোবিন্দের নাম না করে জল স্পর্শ করেন না, সেই বৈষ্ণব বাড়িতে কালি পুজো তৎকালীন সমাজের মাথারা বললেন নৈব নৈব চ, কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি বাড়িতে কালির ঘট স্থাপন করলেন। পরে আবারও স্বপ্নদৃষ্ট হয়ে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এত কালো বা নীল নয়, এত নব দুর্বার ওপর শ্যাম ও শ্যামা এক সাথে, এবং কৃষ্ণ ও কালির আদেশে বটকৃষ্ণ ঠাকুর রটন্তী কালিপূজার দিন প্রথিষ্ঠা করেন এই সবুজ কালিমাতাকে। এখন বটকৃষ্ণ ঠাকুরের সুযোগ্য পুত্র কালিপদ অধিকারী (পণ্ডিত শিবানন্দপুরী ) এই পঞ্চমুন্ডের মন্দিরে সাধনা করেন। আর সারা বছর এই বৈষ্ণব বাড়িতে পূজিতা হন মা সবুজ কালি।