এই মুহূর্তে জেলা

মোবাইল ‘চোর’ ধরতে অফিস টাইমে রাস্তায় দৌড় পুলিশের।

হাওড়া, ২০ সেপ্টেম্বর:- প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে মোবাইল চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন বালি ট্রাফিক পুলিশের এসআই এবং এএসআই। মঙ্গলবার সকালে অফিস টাইমে হাওড়ার বালিহল্টের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বালিহল্ট বাসস্ট্যান্ডে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ এএসআই সমর কুমার মন্ডলের চেষ্টায় মোবাইল চোরকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হলো। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া মোবাইলটিও। প্রাক্তন আর্মি অফিসার শঙ্কর কুমার দে এদিন বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় তাঁর বুক পকেট থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তীর বেগে দৌড় লাগায় মোবাইল চোর। পুরো বিষয়টাই লক্ষ্য করে এএসআই সমর কুমার মন্ডল এবং এসআই শম্ভুনাথ বড়ুয়া। এরপর মোবাইল চোরের পেছনে এক কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলেন তাকে। নিশিন্দা থানা পুলিশের হাতে মোবাইল চোরকে তুলে দেওয়া হয়। কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের অফিসার জীবনের বাজি রেখে ছিনতাইকারী যুবকের পিছনে ধাওয়া করে ড্রাইভ মেরে ধরে ফেলেন মোবাইল চোরকে।

চোর ধরতে গিয়ে আহত হয় ট্রাফিক পুলিশ এবং তাঁর পোষাকও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। কর্তব্যরত পুলিশের কাজের জন্য সাধুবাদ জানান সকলে। জানা গেছে, ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী, বর্তমানে যিনি এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তিনি তাঁর অফিসের কনফারেন্সে যোগ দিতে বালিহল্টের কাছে বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখন আচমকাই এদিন তাঁর পকেট থেকে দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই ছিনতাইকারী। এরপরই ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী বাস থেকে লাফিয়ে নেমে চোরের পিছনে দৌড় লাগান। চোর চোর বলে দৌড়াতে থাকেন তিনি। তাঁকে দেখে বালি ট্রাফিকের আধিকারিকরা ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরাও দৌড় লাগান। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে ওই চোরকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়। এবং পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। প্রাক্তন ওই সেনা কর্মী পুলিশের এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় এরকম চুরি ছিনতাই প্রায়ই ঘটে। তবে এতটা পথ তাড়া করে শেষমেশ চোর ধরতে পারায় তারাও রীতিমতো খুশি।