সুদীপ দাস, ২২ জুন:- জেলার জলাশয়গুলির তথ্য সম্বলিত মোবাইল অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল বুধবার। বুধবার বিকেলে হুগলীর জেলা পরিষদ ভবনে জেলাব্যাপী “জলাধার” নামক এই অ্যাপের আত্মপ্রকাশ ঘটে। উপস্থিত ছিলেন হুগলীর জেলা শাসক দীপাপ্রীয়া পি, হুগলী জেলা পরিষদের সভাধিপতি সেখ মেহবুব রহমান সহ জেলার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার চার মহকুমা শাসক ও বিডিওদের সঙ্গে নিয়ে জলাধারের আত্মপ্রকাশ ঘটান জেলাশাসক। জেলাশাসক বলেন আপাতত হুগলী জেলার ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২৫হাজার জলাশয়কে আমরা চিহ্নিত করেছি। তার মধ্যে ৪৮৬টি জলাধার অ্যাপে ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করেছি। তবে হুগলী জেলায় মোট জলাধারের সংখ্যাটা ৪০হাজার হবে ধরে নিয়েই আমাদের চিহ্নিত করণের কাজ চলছে। এই কাজের জন্য জেলার মৎস্য দপ্তর, পঞ্চায়েত অফিস সহ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মানুষদের কাজে লাগাচ্ছি।
জেলাশাসক বলেন জেলার পৌরসভা এলাকার পুকুরগুলি অ্যাপে নথিভুক্ত করণের জন্য সদর মহকুমা শাসক এবং পঞ্চায়েত এলাকার জলাশয়গুলির জন্য সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অ্যাপে নথিভুক্তের সময় পুকুরের নাম খতিয়ান নম্বর, কার আওতাধীন সহ যাবতীয় তথ্যাদি দেওয়া থাকবে। একই সাথে গুগল ম্যাপেও সেই পুকুরের ছবি দেখা যাবে। জেলাশাসক বলেন জেলার সমস্ত জলাশয়ের তথ্য জলাধারে নথিভুক্ত হওয়ার পর অ্যাপটি সাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তখন কোথাও পুকুর ভরাটের অভিযোগ থাকলে সাধারন মানুষে তড়িঘড়ি সেই জমিতে সত্যিই পুকুর ছিল কিনা তা অ্যাপের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন। এতে প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে সুবিধা হবে সাধারন মানুষের। অন্যদিকে, একই সাথে কোন কোন জলাশয়ের কি রকম চরিত্র তা এক ক্লিকেই দেখে নিতে পারবে জেলা প্রশাসন। বুজে যাওয়া পুকুরগুলিকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যাবে। এর ফলে জলাশয়ে মাছ চাষের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে। ভরবে সরকারী কোষাগার।