এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় মাকড়দহ অঞ্চলের বিখ্যাত বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির প্রাচীন মন্দির থেকে দুর্মূল্য অষ্টধাতুর চন্ডীমূর্তি চুরি। তদন্তে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

হাওড়া, ২২ জুন:- হাওড়ায় মাকড়দহ অঞ্চলের বিখ্যাত বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্মূল্য অষ্টধাতুর চন্ডীমূর্তি চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। জানা গেছে, বাড়ির প্রাচীন মন্দিরের দরজা ভেঙে চুরি হয়েছে কয়েকশো বছরের প্রাচীন দুর্মূল্য অষ্টধাতুর ওই চন্ডীমূর্তি। এছাড়াও চুরি গিয়েছে বহু পুরনো একটি লক্ষ্মীর ঝাঁপি। ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় ডোমজুড় থানায়। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, কে বা কারা মূর্তি চুরি করল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, মাকড়দহ আদি বাসিন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়রা হলেও স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে তাদের তিনটি বাড়ি। তাদের বিখ্যাত দুর্গাপুজো সমৃদ্ধ করেছে মাকড়দহ দুর্গাপূজাকে। আর বাড়ির অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই চন্ডী মূর্তিটি। বন্দোপাধ্যায় পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় আগে পরিবারের প্রাণপুরুষ জগদীশ বাচস্পতি মাকড়দহ বাড়ি করেছিলেন। তার সঙ্গেই এসেছিল বন্দোপাধ্যায় পরিবারের শালগ্রাম শিলা এবং অষ্টধাতুর দুর্মূল্য এই চন্ডীমূর্তিটি।

মাকড়দহ এলাকায় বড় বাড়ি, মনসাতলার বাড়ি এবং নতুন বাড়ি, জগদীশ বাচস্পতির তিন বংশধর পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন মূর্তিটি। যদিও সেটি থাকতো বড় বাড়ির অন্দরমহলের মন্দিরে। কিন্তু ভোরে ঠাকুর ঘরে পুজো করতে আসেন বাড়ির সদস্যা স্নিগ্ধা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি দেখেন মন্দিরের দরজা ভাঙা। সিংহাসন থেকে চুরি গিয়েছে চন্ডী মূর্তি এবং প্রাচীন একটি লক্ষ্মীর ঝাঁপি। এছাড়াও মাটিতে পড়ে রয়েছে শালগ্রাম শিলা। তড়িঘড়ি তিনি খবর দেন পরিবারের সকলকে। এরপর সকালে ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে বড় বাড়ির সদস্য সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মূর্তিটি দেখতে ছোট হলেও তা দুর্মূল্য। একই সঙ্গে আমাদের পরিবারের সুখ-দুঃখের শরিক। আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের পরিবার আগলে রেখেছিল মূর্তিটি। কিন্তু এদিন সকালে আমরা জানতে পারি সেটি কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।