কলকাতা, ১৬ জুন:- বিধানসভায় ভোটাভুটি নিয়ে ফের বিভ্রাটের অভিযোগ।অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা সহ আরেক সিনিয়র বিজেপি বিধায়কের নামে পরে গেলো ভোট। ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবি জানায় তৃণমূল। মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলের ওপর ভোটাভুটির ফলে বিভ্রাটের ঘটনার স্মৃতি এখনো টাটকা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিলের সময় অধ্যক্ষ পরীক্ষামুলকভাবে ইলেকট্রনিক ভোট যন্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন । পাশাপাশি স্লিপের মাধ্যমে চিরাচরিতভাবে ও বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট নেওয়া হয়।সিস্টেম পরিচালনা করার জন্য অধিবেশন কক্ষে হাজির ছিলেন পিডব্লুডি’র ইঞ্জিনিয়ার। শিখিয়ে দিয়েছেন ভোট দেওয়ার পদ্ধতি। তা সত্ত্বেও তৈরি হয় কিছুটা। বৈদ্যুতিন ভোটের তথ্য হাতে দেওয়ার পর পর স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের নাম ডেকে উপস্থিতি যাচাই করে দেখতে থাকেন।
তাতে দেখা যায় বিলের বিপক্ষে ভোট পড়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর। এমনটা হওয়ার পরেই তৃণমূল বিধায়করা হট্টগোল শুরু করে দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন বিপক্ষের ভোট বাড়াতে শুভেন্দু, মিহিরের ভোট দিয়ে দিয়েছেন অধিবেশনে উপস্থিত বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু পাল্টা বিজেপি বিধায়করা দাবি করেন, তদন্ত করে দেখা হোক তা হলেই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করেন, যে হেতু আচার্য বিলের ভোটাভুটিতে যে ভুল হয়েছিল, তার যেমন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে ভাবেই বিরোধী দলনেতার ভোট কী ভাবে পড়েছে, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিন স্পিকার। কিন্তু স্পিকার জানান, কারও অনিচ্ছাকৃত ভুলে এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করছেন তিনি। তার পরেই বিলের ভোটাভুটির ফলাফল ঘোষণা করেন স্পিকার। সেখানে ১১৯-৫৩ ভোটে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিলটি পাশ হয়ে যায়।