এই মুহূর্তে কলকাতা

১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া মেটাতে স্বচ্ছতা মানার নির্দেশ রাজ্যের।

কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি:- মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে একশ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চিত শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার। শ্রমিকদের মজুরির বকেয়া টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে সব ধরনের স্বচ্ছতা মানতে হবে বলে রাজ্য সরকার সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। ওই টাকা পাঠানোর ব্যাপারে এসওপি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করেছে পঞ্চায়েত দফতর। সব জেলা শাসক, বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েতকে ওই এসওপি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মেটানোর ক্ষেত্রে ষোল আনা স্বচ্ছতা রাখতে হবে। ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের প্রথমে খতিয়ে দেখতে হবে, প্রকৃতপক্ষে কাদের টাকা বকেয়া রয়েছে। যাদের টাকা বকেয়া রয়েছে, তাদের জব কার্ড রয়েছে, নাকি বাতিল হয়ে গেছে। প্রত্যেকটি শ্রমিকের নামের পাশে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর রয়েছে কিনা দেখতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ না ডরমেন্ট তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও শ্রমিক ইতিমধ্যে মারা গেলে তাঁর নামের পাশে নোট রাখতে হবে। বিডিও যে লিস্ট তৈরি করবেন, সেই তালিকা এর পর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে পাঠাতে হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই তালিকা ভেরিফাই করবেন। কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বদল হয়ে থাকলে তাও লিপিবদ্ধ করতে হবে। এভাবে ১৮ তারিখের মধ্যে ওয়েজ পেমেন্ট লিস্ট চূড়ান্ত করতে হবে। ১৯ তারিখের মধ্যে ব্যাঙ্ক ওয়াড়ি পেমেন্ট অ্যাডভাইজ তৈরি করে ফেলতে হবে বিডিওদের। তার পর ২১ তারিখ টাকা রিলিজ করা হবে। অনেকের মতে, সন্দেহ নেই এ ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত বিশেষ করে বিডিওদের উপর বড় চাপ তৈরি হল। কারণ, তালিকায় সামান্যতম ভুল ভ্রান্তি হলে তারাই দায়ী থাকবেন। তবে নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, গ্রাম-পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসের স্তরে কোনও ভুলভ্রান্তি হচ্ছে কিনা তার উপর নজর রাখার দায়িত্ব থাকবে মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক ও জেলা শাসকদের উপর। তাঁর যে কোনও মুহূর্তে স্যাম্পেল ভেরিফাই করতে পারেন। সব মিলিয়ে কমবেশি ২১ লক্ষ শ্রমিককে বকেয়া মেটাতে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নে। জেলা শাসকদের নিয়ে ইতিমধ্যে একবার ওরিয়েন্টেশন মিটিং করেছেন পঞ্চায়েত সচিব। বুধবার জেলা শাসকরা সমস্ত বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েত ও অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে ওরিয়েন্টশন মিটিং করবেন। ৮ তারিখ থেকে খসড়া মজুরি তালিকা তৈরি করে ফেলতে হবে বিডিওদের।