এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ার কারণ খুঁজতে সমীক্ষা সিদ্ধান্ত।

কলকাতা,১৪ জুন:- করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে রাজ্য সরকার এবার সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতর ওই সমীক্ষা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করেছে। শ্রম দফতরের সচিব বরুণকুমার রায় জানান সল্টলেকের ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজকে স্কুলছুটের ব্যাপারে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার পর তার রিপোর্ট তৈরির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানকে। তিনি বলেন ‘অষ্টম থেকে দশমের মধ্যে গড়ে প্রতি বছর ৩ লাখ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে অন্তত ২ লাখ, অর্থাৎ মোট ৫ লাখ পড়ুয়া স্কুলছুট হয়।’ এ বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে ৩০ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে ধাপে ধাপে। সরকারি স্কুলের দীর্ঘকালীন ছুটি, শিক্ষক এবং পরিকাঠামোর অভাব, দারিদ্র ইত্যাদি কারণে অনেকে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু স্কুলছুটের পরিসংখ্যান কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না?’ ২০২০-২১ এর সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রিপোর্ট অনুযায়ী যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় উচ্চ প্রাথমিকে অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৭ লাখের বেশি।

মাধ্যমিক স্তরে সেই সংখ্যাটা কমে ২৫ লাখের কিছু বেশি এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেই সংখ্যা আরও কমে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৬ লাখের আশপাশে। তা হলে উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে ২২ লাখ আর মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের মধ্যে প্রায় ৮ লাখ পড়ুয়া কোথায় গেল? তার খোঁজে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্কুল ছুটের এই সংখ্যাটা ভাবাচ্ছে শিক্ষা সচেতন ব্যক্তিদের। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিল বহু পরিবার। সেই সময় পরিবারের মুখে অন্ন জোগাতে বহু পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছিল। স্কুলছুটের বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ়ের অধিকর্তা অচীন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ব্লকের নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিবারের কাছে গিয়ে জানতে চাইব তাদের বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে কি না। এই কাজটা স্কুল খুললে করা সম্ভব। গরমের ছুটি কিছুদিন বেড়ে যাওয়ায় খানিক দেরি হবে।’