এই মুহূর্তে কলকাতা

আদালতের নির্দেশ মেনে ১৫ দিনের মধ্যেই বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যের।


কলকাতা, ১১ এপ্রিল:- রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে দু’সপ্তাহের মধ্যে বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে বাবুঘাটের বাসস্ট্যান্ড সাঁতরাগাছিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যের পরিবহন দফতর আজ সমস্ত বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনকে চিঠি নিখে নির্দেশ দিয়েছেন। বাবুঘাট স্ট্যান্ডে চারটি রুটের শতাধিক বাস থাকে। এছাড়া আন্তঃরাজ্যেরও বহু বাস থাকে। এই বাসস্ট্যান্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক মামলা হয়েছে। অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডের ভিড়, ধোঁয়া, রাসায়নিকের প্রভাব পড়ছে ময়দানে। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাসস্ট্যান্ড সরাতে চেয়ে আদালতে একাধিক মামলাও হয়েছে। এদিন পরিবহণ দপ্তরের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলতে হবে। বাবুঘাটের বদলে সাঁতরাগাছিতে সরিয়ে ফেলতে হবে বাসস্ট্যান্ড। বহুদিন ধরেই সাঁতরাগাছির স্ট্যান্ডটি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। বারবার বলেও বাসস্ট্যান্ড সরানো যায়নি। এবার ফের নির্দেশিকা জারি করা হল। উল্লেখ্য, ধর্মতলা ও বাবুঘাটে বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত সেই ২০০২ সালে৷ ধর্মতলা ও বাবুঘাটে বাসস্ট্যান্ড থাকার কারণে ব্যাপক দূষণ ছড়াচ্ছে৷ এই অভিযোগে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত৷ সেই মামলায় ধর্মতলা ও বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দেয় বিচারপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ৷ বাসস্ট্যান্ড সরাতে সময়ও বেঁধে দেন বিচারপতি ভট্টাচার্য৷

কিন্তু হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার৷ সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে৷ তবে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ সামান্য রদবদল করে শীর্ষ আদালত৷ হাই কোর্ট বাসস্ট্যান্ড সরাতে যে সময় বেঁধে দেয় তা খারিজ করে জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধামতো বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবে৷এই  নির্দেশের পর ফের মামলাটি হাই কোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট৷ বাসস্ট্যান্ড সরাতে রাজ্য সরকার হাই কোর্টের বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়৷ বাবুঘাট থেকে আন্তঃরাজ্য বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট৷