এই মুহূর্তে জেলা

রেলের আপত্তিতে মা সারদার মূর্তি অন্যত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিল আরামবাগ পৌরসভা।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৮ মার্চ:- রেলের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মা সারদার মুর্তি অন্যত্র সরিয়ে বসানোর সিদ্ধান্ত নিলো পৌরসভা। মুলত রেলের আপত্তির পরেই বিতর্কে না গিয়ে এলাকার মানুষের মতামত নিয়ে পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান মা সারদার মুর্তি অন্যত্র বসানোর কথা ঘোষনা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগ পৌরসভায়। যুগাবতার শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের জন্ম হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের কামারপুকুরে। তাই আরামবাগ মানেই মা সারদা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলি ধন্য পবিত্র স্থান। কথিত তো আছে এই আরামবাগ শহরের উপর দিয়েই মা সারদা কামারপুকুর
থেকে পায়ে হেঁটে বুলুন্দি হয়ে কলকাতার দক্ষিনেশ্বর ও বাগবাজার যেতেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে।

তাই এই পবিত্রভুমিকে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আরামবাগ রেল স্টেশন সংলগ্ন রবীন্দ্রপল্লী রেল গেটের সামনে বসানো হয় মা সারদার মুর্তি। কিন্তু এরপরই রেলের পক্ষ থেকে নাকী আপত্তি করা হয়। তাই এদিন আরামবাগে রেলের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মা সারদা মুর্তি পরিদর্শন করেন আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারী। জানা গেছে, রেলের আপত্তি থাকায় চেয়ারম্যান বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। এই বিষয়ে আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারী জানান, যেহেতু রেলের আপত্তি আছে তাই এই মুর্তি জনগণর ইচ্ছায় আমতলায় বসানো হবে। জানা গেছে

রবীন্দ্রপল্লীর রেল গেটের পরিবর্তে মা সারদার মুর্তি বসন্তপুরের আমতলা মোড়ে বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আরামবাগ পৌরসভা। এই বিষয়ে দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তুষার কার্ফা বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে নিয়ে জায়গা পরিদর্শন করলেন। মা সারদার মুর্তি যে উদ্দেশ্য নিয়ে বসানো হবে সেই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আপাতত আমতলা মোড়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে আরামবাগ রেল দপ্তরের এক আধিকারিকের দাবী, রেলে জায়গায় কিছু করতে হলে রেলের অনুমতি নিতে হয়। এটা নেওয়া হয়নি। ভবিষ্যৎতের যদি সরাতে হয় তাহলে সমস্যা হবে। এর বেশি কিছু বলা হয়নি। তবে এদিন নাকি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আরামবাগ শহরে মা সারদার মুর্তি স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। আর এই উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি শহরবাসী।