এই মুহূর্তে কলকাতা

চলতি আর্থিক বছরের জন্য দু’কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ সরকারের।

কলকাতা, ১১ মার্চ:- রাজ্য সরকার ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য ২ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেছে। রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসাবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শুক্রবার বিধানসভায় এই বাজেট পেশ করেন। উদ্ভূত আন্তর্জাতিক সংকট ও করোনা অতিমারী জনিত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কমোনো এবং রাজ্যে শিল্পায়ন ও কর্ম সংস্থানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাজেট প্রস্তুত কর হয়েছে বলে তিনি জানান। অতিমারী ও মূল্যবৃদ্ধির চাপে জর্জরিত সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে বাজেটে নতুন কিছু করছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই চালু থাকা বেশ কিছু ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট প্রস্তাবে আগামী চার বছরে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন। চা শিল্পকে উত্সাহ দিতে বিশেষ করে ছোট চা বাগান গুলিকে সুবিধা দিতে বাজেটে গ্রামীণ ক্রমসংস্থান সেস এবং কৃষি আয়কর মুকুবের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি প্রথমিক স্কুলগুলিকে উত্সাহ দিতে ১৯৭৩ সালের রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা আইনের অধীনে শিক্ষাসেস ও মকুব করার কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বৈদ্যুতিক ও সিএনজি চালিত গাড়ির ব্যবহারে উত্সাহ দিতে আগামী দুবছরের জন্য এইধরণের দুচাকা ও চার চাকার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মুকুব করার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। জমি বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটিতে চলতি ছাড়ের মেয়াদ আরও ছমাস বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ এবং সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশের মধ্যে সর্বাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প এরাজ্যেই চালু রয়েছে। আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে এর আওতায় আনা হবে।

আরও ৮ লক্ষ্য মহিলাকে বিধবা পেনশনের আওতায় আনা হবে।এজন্য ৯৬০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ১ কোটি ৫৩ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে মাসে অর্থ সাহায্য করতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে কর ব্যবস্থার সরলীকরণের মাধ্যমে অতিমারীর প্রভাব স্বত্তেও বিগত দুবছরে রাজ্যে রাজস্ব আদায় সন্তোষজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।রাজ্যের আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের নানা বিমাতৃসুলভ আচরণ স্বত্তেও দক্ষ ও সক্রিয় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে দুর্গোয কাটিয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান,২০২১-২২ আর্থিক বছরে দেশের নেতিবাচক আর্থিক বৃদ্ধির প্রেক্ষিতও রাজ্যে ইতিবাচক আর্থিক বৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যের অর্থনীতি আরও দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাবে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১২.৮২ শতাংশ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাষ দিয়েছেন।