এই মুহূর্তে জেলা

হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তৈরী হলো স্বাস্থ্যসাথী, সৌজন্যে পঞ্চায়েত প্রধান।

সুদীপ দাস, ১১ মার্চ:- কোলকাতার হাসপাতালে যাওয়ার পথেই থামলো অ্যাম্বুলেন্স। তড়িঘড়ি করে দেওয়া হলো “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড”। হাতে গরম সেই কার্ড নিয়েই কোলকাতায় চিকিৎসার জন্য রওনা দিলো অ্যাম্বুলেন্স। শুক্রবার এভাবেই রুগীকে সরকারি পরিষেবা পাইয়ে দিলেন চুঁচুড়ার কোদালিয়া ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস। মগরা ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতাভুক্ত বাগাটি এলাকার বাসিন্দা অসীমা মালিক বক্ষ ক্যান্সারে আক্রান্ত। অসীমা দেবীর স্বামী সুশান্ত মালিক দিনমজুরের কাজ করেন। স্ত্রীর রোগের কথা জানার পর থেকেই নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন সুশান্তবাবু। অর্থের অভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছিলো। মগরা ২এর পঞ্চায়েত প্রধান জয়শ্রী পালের কাছ থেকে মালিক পরিবারের খবর শুনতে পান কোদালিয়া ২নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস।

ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই কোদালিয়া ২এর কালিতলা এলাকায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ক্যাম্প আয়োজিত হয়। আজ সকালে সেই ক্যাম্প চন্দ্রহাটি ২ এলাকায় হওয়ার কথা। বিদ্যুৎবাবু বৃহস্পতিবার রাতেই ক্যাম্পের লোকেদের সাথে যোগাযোগ করে শুক্রবার যাওয়ার আগে বছর ২৬এর অসীমাদেবীর স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটি করে দেওয়ার আবেদন জানান। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই শুক্রবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হলো অসীমা মালিককে। এদিন বাগাটির বাড়ি থেকে কোলকাতার সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয়। শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ সেই অ্যাম্বুলেন্সই এসে পৌঁছয় চুঁচুড়ার কালিতলা এলাকায়। সেখানে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তড়িঘড়ি অসীমাদেবীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হয়। অসীমাদেবীর স্বামী সুশান্তবাবুর হাতে সেই কার্ড তুলে দেন পঞ্চায়েত প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস। এরপর অসীমা মালিককে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় কোলকাতায় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।