এই মুহূর্তে

সংসারে অভাব দূর করতে টোটো নিয়ে রাজপথে পদ্মা , বিশ্ব নারী দিবসে তাকে কুর্নিশ আরামবাগবাসীর।

আরামবাগ, ৮ মার্চ:- সংসারের অভাব দূর করতে টোটো নিয়ে শহরের রাজপথে পদ্মা। বিশ্ব নারী দিবসে পদ্মাকে কুনিশ আরামবাগবাসীর। সারা বিশ্বের সাথে সাথে আরামবাগেও মর্যাদার সাথে পালিত হচ্ছে বিশ্বনারী দিবস। এই বিশেষ দিনে আপনাদের সামনে এক নারীর কঠিন জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরবো। যে সকাল হলেই ছেলে মেয়েদের মুখে এক মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য ঋন করে নেওয়া টোটো নিয়ে শহরের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন কিছু রোজগারের জন্য। একজন মহিলা বর্তমান সমাজে যে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তার জলন্ত প্রমান হলো আরামবাগের গৃহবধু পদ্মা।আরামবাগ শহরের প্রথম ও একমাত্র মহিলা টোটো চালক পদ্মা মল্লিক (৩৮)। বাড়ি আরামবাগ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লী এলাকায়। স্বামী ১৩ বছর আগে মারা যান। তখন থেকেই পদ্মাকে সংসারের হাল ধরতে হয়। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

তিনি দীর্ঘদিন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল আয়ার কাজ করেছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া হাসপাতালের ৬০ টাকা রোজে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে ওঠে। তখনই ভাবেন বিকল্প এক জীবিকার কথা। সংসারে চাপ বাড়তে থাকায় কঠিন সংগ্রামকেই বেছে নেয় সে। মাথায় আসে টোটো চালানোর কথা। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমে ছেলে-মেয়েরা আপত্তি করেছিল। কিন্তু উপায় ছিল না পদ্মার। তাই ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে টোটো কিনে ফেলে সে। পদ্মা মল্লিকই এখন আরামবাগ শহরের একমাত্র মহিলা টোটো চালক। এই বিষয়ে আরামবাগ টোটো চালকের সম্পাদক নজর আলি জানান, সমস্ত টোটো চালকের মতোই আমরা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সব রখম সহযোগিতা করা হয় পদ্মাকে। ওনার নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। একজন মহিলা হিসাবে ওনার কাজকে আমরা কুনিশ জানাই। সবমিলিয়ে সংসারের হাল ফেরাতে পরিশ্রম করে চলেছে পদ্মা। ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি। বিশ্বনারী দিবসে তার এই কঠিন পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানায় আরামবাগবাসী।