কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি:- আসন্ন বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন। আগামী সপ্তাহে বুধবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যস্তরের প্রস্তাবিত এই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পপতি ছাড়াও বনিকসভার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যসচিব সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে শিল্প সম্মেলন ছাড়াও গভীর সমুদ্র বন্দর, বীরভূমের দেউচা পাচামী প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হতে পারে। রাজ্যে আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলন রয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন বিজিবিএসে রাজ্য সরকার তাজপুর সমুদ্র বন্দর, দেউচা পাচামির কয়লা খনি প্রকল্প এবং উত্তরবঙ্গে পর্যটন, চা ও ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে বিশেষভাবে তুলে ধরতে চাইছে। পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রকল্পগুলি ছাড়াও অন্য শিল্প নিয়ে কথা হবে।
এছাড়া কথা হবে রাজ্যের শিল্প উৎসাহ প্যাকেজ নিয়ে। ইতিমধ্যে শিল্পের লাইসেন্স দেওয়া, জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির লাইনের সংযোগ দেওয়ার কাজ নামমাত্র সময়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্পের জমির জন্য ল্যান্ড ব্যাংক করা হয়েছে আগেই। মুখ্যমন্ত্রী জমির সর্বশেষ অবস্থাও খতিয়ে দেখতে চান। দিনকয়েক আগে আদানি গ্রুপের অন্যতম কারণ আদানি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে গিয়ে কথা বলে যান আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানিও। সূত্রের খবর, দেউচা পাচামি নিয়ে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলন কোম্পানি এবং বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনা চলছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্প এবং কর্মসংস্থানকে পাখির চোখ করেছেন। ২০ ও ২১ এপ্রিল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন রয়েছে। সেখানে উদ্বোধনে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তাই সেই সম্মেলেনের আগে সমস্ত রূপরেখা তৈরি করতে রাখতে চাইছে নবান্ন।তাই এই বৈঠকের আয়োজন।