এই মুহূর্তে জেলা

দু- একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর চন্দন নগর পুরো নিগমের ভোট প্রক্রিয়া চলছে নির্বিঘ্নেই।

হুগলি, ১২ ফেব্রুয়ারি:- শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের চারটি পুরো নিগমের ভোটদান পর্ব চলছে। হুগলির চন্দননগর পুর নিগমের ৩৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২ টি ওয়ার্ডে সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল থেকেই মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। সকালের দিকে দু-একটি কেন্দ্রে ইভিএম খারাপের খবর পাওয়া গেলেও তৎপরতার সঙ্গে সেগুলোকে বদলে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫ এবং ৬ নম্বর বুথে তৃণমূল এবং বিরোধী বামও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে একটু বচসার সৃষ্টি হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মিটে যায়। বেলা ১১ টা অবধি যে খবর পাওয়া গেছে যে তাতে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এদিকে আজকে চন্দননগর ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে মানুষ এসে ভোট দিচ্ছেন।

প্রতিটি বুথে কোভিড বিধি কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত যে ভোট হয়েছে তাতে কিন্তু কোন গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি। ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তবে তবে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযোগ বহিরাগতদের সঙ্গে সিপিএম প্রার্থী হাতাহাতি হয় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীকে পৌঁছায়। এই ওয়ার্ডে সকাল থেকেই ছিল দীর্ঘ লাইন। মাঝে মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলে হয় কিন্তু তা পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মিটে যায়। দুই নম্বর ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ পল্লী স্কুলের সামনে বেআইনি জটলা হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই জমায়েতকে ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। সকাল থেকে পুলিশের টহলদারি চলছে সর্বত্র। এবং চন্দননগর শহরে ঢোকার এবং বের হবার মুখে নাকা চেকিং শুরু করেছে। এ ছাড়াও এখানকার ফেরিঘাট, রেল স্টেশন গুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।