কলকাতা, ৩ ফেব্রুয়ারি:- রাজ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি শিল্প পার্ক তৈরি করা হবে। সবুজ সাথী প্রকল্পের রাজ্যের স্কুলের ছেলেমেয়েদের সাইকেল দেওয়ার কারখানায় তৈরি হবে রাজ্যেই। কলকাতায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে শিল্প ও বানিজ্য সচিব বন্দনা যাদব বলেন, নতুন শিল্পপার্ক তৈরীর জন্যে ১২০০ একর জমি পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে রাজ্যে যে ৩৩টি শিল্প পার্ক রয়েছে সেখানেও নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের জন্য কয়েকটি নির্মান সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে বলে সচিব জানিয়েছেন। বন্দর তৈরি হলে সেখানে প্রাথমিক ভাবে সতেরো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। ঐ এলাকার আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রনে মুখ্যমন্ত্রী তাজপুরে একটি নতুন থানা তৈরির নির্দেশ দেন।
কয়েকটি প্রথম সারির সাইকেল নির্মানকারী সংস্থার তরফে আসা প্রস্তাব বিবেচনা করে কারখানা নির্মান সহ রাজ্যে শিল্পের বর্তমান অবস্থা ও বানিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী তিনি বিভিন্ন বনিকসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ”সাইকেল ও গাড়ি তৈরির কারখানার বিষয়টি কতদূর এগোল?” সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষস্থানীয় বলেন,”আমরা নির্মাতাদের বলেছি ৫০ শতাংশ যদি তারা প্রডিউস করে, তাহলে আমরা নিয়ে নেব। এ নিয়ে বিশদ আলোচনার জন্য আমাদের টিমও গিয়েছিল লুধিয়ানায়। অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন। হিরো সাইকেলের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এবারের টেন্ডারে ওরা অংশ নেব।
যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ওরা এখানে জমি নিয়ে প্রডিউস করবে।” তাঁর সংযোজন, ”এছাড়া হিরো সাইকেল ইলেকট্রিক্যাল সাইকেল নিয়েও ইন্টারেস্ট দেখিয়েছে। ওরা একটা মউ জমা দিয়েছে বুধবার। ওরা কী কী করতে ইচ্ছুক তা দেখাব। এছাড়া সাইকেলের কারখানা করতে যাঁরা ইচ্ছুক তাঁরা চলতি মাসে এসেই জমি দেখে যাবে। লুধিয়ানা থেকে একটি টিম এসে ওই জমির স্ক্রুটিনি করবে।” সবুজ-সাথী প্রকল্পে স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেল দেয় রাজ্য। এদিনের বৈঠকেও সে কথা মনে করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাংলায় সাইকেল তৈরি না হওয়ায়, বাইরের রাজ্য থেকে তা আনতে হত। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০ লাখ সাইকেল আনতে হত লুধিয়ানা থেকে। আর সেই কারণেই রাজ্যে ওই কারখানা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা তৈরির অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভাও।