সুদীপ দাস, ১ ফেব্রুয়ারি:- ২০১৫ সালের পর থেকেই রাজ্যের পাশাপাশি জেলাজুড়ে টোটোর পথচলা শুরু হয়েছিলো। বছর খানেক পর টোটোর বাড়বাড়ন্তে শুরু হয়েছিলো বাস চলাচলে সমস্যা। পাশাপাশি ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়েছিলো বাস মালিকদের। মূলত বাসরুট দিয়ে টোটো চলাচলের দরুন বাস চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় একাধিকবার বাস রুটে টোটো বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বাস মালিকরা। তাতেও কোনো সুরাহা না মেলায় অবশেষে ২০১৬ সালে বাস মালিকদের দাবীমতো জেলা প্রশাসনের সাথে সিদ্ধান্ত হয় যে বাসরুট ধরে কোনোরকম টোটো চলাচল করবেনা। এরপর থেকে পুলিশি তৎপরতায় প্রথম প্রথম ধরপাকড় শুরু হলেও দিন কয়েক যেতেই যেই কে সেই। ফের অবাধে বাসরুট ধরে রমরমিয়ে শুরু হয় টোটোর টোটোকোম্পানি।
বারংবার জানানো সত্ত্বেও কোনো কাজ না হওয়ায় ফের প্রশাসনকে বাসমালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় পূর্বনির্ধারিত নিয়ম কার্যকর করতে। তাতেও হেলদোল দেখা যায়নি প্রশাসনের। এতে টোটোর রাজত্ব তার উপর প্রায় দুবছর ধরে করোনার প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে তলানিতে ঠেকেছে বাস ব্যবসা। মালিক থেকে শ্রমিক সকলেরই বর্তমানে টান রুজি রোজগারে। তার উপর করোনার দরুণ লকডাউনে বাস বন্ধে মরার উপর খাঁড়ার ঘা পড়ায় ফের চুঁচুড়ায় একজোটে সরব হলেন বাস মালিক শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবী অবিলম্বে পূর্বনির্ধারিত নিয়ম কার্যকর না হলে শিগগিরই তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন। পাশাপাশি তাঁরা হুমকি দেন যদি এই নিয়ম কার্যকর না হয় তা হলো আগামী দিনে ধাপে ধাপে জেলাজুড়ে বন্ধ হবে বাস চলাচল। সর্বপ্রথম চুঁচুড়া থেকে বন্ধ হবে বাস চলাচল। ধীরে ধীরে গোটা জেলা তথা রাজ্যেই বন্ধ হবে বাস পরিষেবা। এমনই মন্তব্য করলেন বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা।