এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগরে শাসক ও বিরোধী দলের দেওয়াল লিখন শুরু অন্যদিকে জেলাশাসক দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠক।

হুগলি, ২৮ ডিসেম্বর:- শাসকের আগেই বিরোধী! সোমবার নির্বাচন ঘোষনা হতেই হুগলীর চন্দননগর পুরনিগম এলাকায় শাসক তৃণমূলের আগেই দেওয়াল লিখনে নেমে পরলো রাজ্যের বিরোধী ফল বিজেপি। প্রার্থী ঘোষনা না হলেও মঙ্গলবার সকালে চন্দননগরের ২২নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনে নেমে পরে বিজেপি। বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক যুবমোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউয়ের নেতৃত্বে দেওয়াল লিখন শুরু হয় ওই ২২নম্বর ওয়ার্ডের কালীমন্দির তলা এলাকায়। রং তুলিতে হাতে দেওয়ালে গেরুয়া পদ্ম আঁকেন সুরেশবাবু। পাশাপাশি চন্দননগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখন ও দেওয়াল দখলে নেমে পড়েন শাসক দলের কর্মীরা। তাদের দাবি কম করে ৩০টি আসনে জিতে তারা পুনরায় চন্দননগর পুর নিগম দখল করবেন। নির্বাচনী বিধি নিয়ে রাজনৈতিকগুলিকে দলগুলিকে অবগত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে হুগলীর জেলাশাসক দপ্তরে এক সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস প্রভৃতি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। জেলাশাসক দপ্তরের সর্বশিক্ষা সভাঘরে আয়োজিত এই সভার নেতৃত্ব দেন জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ সহ সরকারি আধিকারিকরা।

বৈঠক শেষ বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক পার্থ ভট্টাচার্য বলেন অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে আখেরে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটা ভেবেই ভালো লাগছে। আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন করার লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করলাম। অন্যদিকে বামেদের পক্ষে সিপিএম নেতা সুনীল সাহাও নির্বাচনের জন্য সময়ের বরাদ্দ অত্যন্ত কম বলে মত প্রকাশ করেন। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কম সময়সীমা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগককে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করা বিকাশ রায় বলেন রাজ্য সরকারের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে বিরোধীরা ভোটের আগেই নিজেদের হার মেনে নিচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন সুষ্ঠভাবে করার লক্ষ্যে সবরকম ব্যাবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ। এদিকে এদিনের বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন চন্দননগরে নির্বাচনী বিধি বলবৎ হয়েছে। আমরা নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত নিয়ম সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রাথমিকভাবে অবগত করাতেই এই বৈঠক করলাম।