হুগলি, ২৬ ডিসেম্বর:- হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার নদীবাঁধ এলাকায় বাঁধা কপির চাষ অর্থনৈতিক ভাবে স্বয়ং সম্পুর্ন হতে দিশা দেখাচ্ছে কয়েক হাজার চাষীকে। এই মহকুমার ছয়টি ব্লকের মধ্যে পাঁচটি ব্লকের নদীবাঁধ এলাকাতেই কয়েকশো একক জমিতে বাঁধাকপি চাষ হয়। উল্লেখ্য আরামবাগ মহকুমা দ্বারকেশ্বর, দামোদর ও মুন্ডেশ্বরি নদী দিয়ে ঘেরা।আর এই জন্য নদীবাঁধ সংলগ্ন স্থানে শীতের মরসুমে প্রচুর পরিমানে বাঁধা কপি ও ফুল কপি চাষ। তবে এই বছর ব্যাপক পরিমানে বাঁধা কপি চাষ দেখা যায়। খানাকুলের ঘাশুয়া, চিংড়া, নতিবপুর, জগৎপুর এলাকার বাঁধা কপির উৎপাদন এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে বলে মনে করছে কৃষকরা। লক ডাউনের ফলে পরিবেশে পরিবর্তন এসেছে। পরিবেশ অনেকটাই দুষন মুক্ত হয়েছে। তাছাড়া শীতের আমেজও সঠিক থাকায় ফলন বেশি হয়েছে।
এই বিষয়ে খানাকুলের ঘাশুয়া এলাকার এক কৃষক জানান, এই বছর প্রকৃতি দুই হাত ভরে বাঁধা কপি দিয়েছে। পরিবেশ দুষন মুক্ত হওয়ায় চাষ খুব ভালো হচ্ছে। এখান কার বাঁধা কপি সারা রাজ্য ব্যাপী রপ্তানি হয়। অভ্যন্তরীন বানিজ্যের ক্ষেত্রে আরামবাগ মহকুমার বাঁধা কপি প্রতি বছরই একটা জায়গায় থাকে। আমাদের নদী বাঁধ এলাকার সুস্বাদু কপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।কেননা এখানে সারে প্রয়োগ কম হয়। মাটি খুব ভালো হওয়ায় সার বেশি লাগে না। এখান থেকে বর্ধমান, হাওড়া, কলকাতা, তারকেশ্বর, চুঁচড়া,মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায়। অপরদিকে আরামবাগের সালেপুর দুই নম্বর অঞ্চলের কৃষকরা জানান, এই বছর ফুল কপির থেকে বাঁধা কপির উৎপাদন বেশি হয়েছে। আর এই কপি সহজে বাজার জাত করায় চাষীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হন।চাষীরা কপি চাষ করে অনেকটাই লাভবান হয়েছে। সবমিলিয়ে এই বছর আরামবাগের নদীবাঁধ এলাকার বাঁধাকপির চাষ উজ্জীবিত করছে কয়েক হাজার চাষীকে।