হাওড়া, ২০ ডিসেম্বর:- মাস ছয়েক আগে শ্বশুরবাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা দুই যুবক। আর এদের সঙ্গেই ক্রমে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বালির নিখোঁজ দুই গৃহবধূ অনন্যা ও ছোট জা রিয়ার। এরপরের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। গত ১৫ ডিসেম্বর বুধবার হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকার আনন্দনগরের বাসিন্দা ওই দুই গৃহবধূ এবং তাদের সাত বছরের শিশু সন্তান শীতের পোশাক কিনতে শ্রীরামপুরে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশ নিখোঁজদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট এবং টাওয়ার লোকেশন ধরে তদন্তে নামে। এরপরই জানা যায় আসল ঘটনা। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে এরা ওই দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ঘটনার দিন প্রথমে তাদের মুর্শিদাবাদের বাড়িতে যায়। এরপর তারা পালিয়ে যায় মুম্বইয়ে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে পুলিশ এদের অবস্থান জানতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে ওই দুই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে ঘর সংস্কারের জন্য এসেছিলেন ওই দুই রাজমিস্ত্রি।
সেখানেই অনন্যা ও তার জা রিয়া রাজমিস্ত্রীর কাজে আসা দুই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, শীতের মার্কেটিং করতে গিয়ে সাত বছরের এক শিশু সহ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বালির বাসিন্দা দুই গৃহবধূ। বুধবার ১৫ ডিসেম্বর বালির আনন্দনগর লোকনাথ মন্দির এলাকার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার (বড় বউ), রিয়া কর্মকার (ছোট বউ) এবং বাড়ির একমাত্র ছোট সদস্য আয়ুষ কর্মকার (ছোট বউয়ের ছেলে) শীতের মার্কেটিং এর জন্য শ্রীরামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাড়ি থেকে। সেদিনই দুপুর তিনটের পর থেকে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের। পরে স্থানীয় নিশ্চিন্দা থানায় একই পরিবারের তিন সদস্যের নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শ্রীরামপুর থানা সূত্রে জানা যায় এদের শেষ অবস্থান ছিল শ্রীরামপুরে গত ১৫ তারিখ পর্যন্ত। এরপর নিখোঁজদের কল লিস্ট এবং টাওয়ার লোকেশন ধরেই সাফল্য পায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এরা মুম্বইয়ের কোথায় আছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুম্বইয়ে দুই গৃহবধূকে কেন নিয়ে যাওয়া হল তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।