এই মুহূর্তে কলকাতা

শিক্ষা বিস্তারের নিরিখে বৃহৎ রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল রাজ্য।

কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর:- শিশু শিক্ষা তেও এগিয়ে বাংলা। ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে সাফল্যের শিরোপা আগেই মিলেছে। এ বার বুনিয়াদী স্তরে শিক্ষা বিস্তারের নিরিখে বৃহৎ রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল এই রাজ্য। ‘ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরেসি’-তে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে বাংলা। রাজ্যের সাফল্যকে ফের কেন্দ্রের এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি এই সাফল্যের জন্য শিক্ষা মহলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।বড় রাজ্য, ছোট রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্য- এই চারটি বিভাগে এই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বড় রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আর সবথেকে পিছনে রয়েছে বিহার।‘ইন্সটিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস’ ‘ইনডেক্স অন ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরেসি’-এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের (ইএসি-পিএম) চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন। ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের সাক্ষরতার হারের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘ছোট রাজ্য’ বিভাগে কেরালা শীর্ষস্থান দখল করেছে। শেষে রয়েছে ঝাড়খণ্ড।

একটি বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়েছে, বড় রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে থাকা পশ্চিমবঙ্গ ৫৮.৯৫ স্কোর করেছে। ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম কেরালা ৬৭.৯৫ স্কোর পেয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে প্রথম লাক্ষাদ্বীপ (৫২.৬৯)। মিজোরাম (৫১.৬৪) উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। এই দুটি বিভাগে সবার নীচে রয়েছে লাদাখ এবং অরুণাচলপ্রদেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরেসির সূচক’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভারতের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মৌলিক শিক্ষার সামগ্রিক অবস্থা বোঝার জন্যই এই সূচক প্রকাশিত হয়। এই সূচক তৈরি করার ক্ষেত্রে মোট ৪১টি বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে, যা ৫টি স্তম্ভের অন্তর্গত। পাঁচটি স্তম্ভ হল- শিক্ষাগত পরিকাঠামো, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, মৌলিক স্বাস্থ্য, শিক্ষার ফলাফল এবং শাসন। মৌলিক শিক্ষায় এই সাফল্যের জন্য উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লিখেছেন, এই সাফল্যের জন্য সমস্ত শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।