এই মুহূর্তে জেলা

জীবাণুনাশক স্প্রে ‘না’, চালক, কন্ডাক্টরদের নেই মাস্ক, স্যানিটাইজার, যাত্রী কমেছে বেসরকারি বাস


 

হাওড়া ,১৯ মার্চ :-  এক-এক টিপে চল্লিশ কিমি গাড়ি চালাচ্ছেন। চালক, কন্ডাক্টরদের মুখে নেই মাস্ক, স্যানিটাইজার। জীবন ঝুঁকি নিয়ে চালিয়েও যাত্রী মিলেছে মেরেকেটে ৩০জন। এমনটা চলতে থাকলে বাস চালানো বন্ধ করে দিতে হবে! বৃহস্পতিবার দুপুরে এমনি অভিজ্ঞতার কথা হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে শোনালেন বাস চালক অভিমন্যু দাস, অশোক দাস। করোনা আতঙ্ক মানুষের মনে আটকে গিয়েছে। দাসনগর, টিকিয়াপাড়া, বেলগাছিয়া এলাকায় কাজ করা কর্মীরা কারখানায় থেকে যাচ্ছে। সকালের দিকে নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা কমে গেছে। খুব প্রয়োজন না থাকলে বাড়ি থেকে বের হবার চিন্তাভাবনা মনে আনছেন না। বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা। বাসে যাত্রী হচ্ছে না। যাত্রী না হলে বাস চালানোর খরচ উঠবে কীভাবে প্রশ্ন তুলছেন মালিকদের একাংশ। একি অবস্থা ম্যাজিক-অটো সহ ছোট গাড়ির। যাত্রী না হওয়ায় সকাল-বিকেল সময় মেপে টিপ খাটছে। বাকি সময় ঘন্টাখানেক অন্তর। দূরপাল্লার বাস চলাচল অনেকটা কমেছে। জাতীয় সড়কে ফাস্ট ট্যাগ পদ্ধতিতে টোল আদায় চলছে। সপ্তাহ খানেক আগে অবধি ধুলাগোড় টোল প্লাজায় গাড়ীর লম্বা লাইন ছিল কিন্তু দু-তিনদিন সেই ভিড় উধাও।  

There is no slider selected or the slider was deleted.

যাত্রীদের একাংশের কথায় উঠে এসেছে গুরুতর অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতায় জীবাণুনাশক ছড়ানোর বিশেষ পদক্ষেপ করছে না বেসরকারি বাসগুলো। হেলপার কে দিয়ে বাস ধোয়া-মোছা করিয়ে নেন। কতটা সুরক্ষিত থাকছে তা প্রশ্নাতীত। সরকারি বাসের চালকদের মুখে মাস্ক দেখা মিললেও বেসরকারি বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের মুখে থাকছে না মাস্ক। অথচ ওঁরা দিনভর থাকছে হাজারো মানুষের সংস্পর্শে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করে না। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়মাবলী মেনে চলাটা ওঁদেরও প্রয়োজন রয়েছে। সরকার বলছে ভিড়ভাড় এলাকায় না যেতে। কিন্তু কজন মানুষ আর নিজস্ব গাড়িতে যাতাযাত করেন। সরকারি বাস অপ্রতুল। বেসরকারি বাস এবং ছোট গাড়ির উপর নির্ভর করতে হয়। যাত্রীদের সমস্ত কিছু ভেবে বাইরে বের হতে হচ্ছে। বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যদের কথায়, শহরতলী ছাড়াও দুরপাল্লার মধ্যে চলাচল করা শ’য়ে শ’য়ে বাস হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশ করে। হাওড়া-ঝিখিরা রুটে ৩৪টি বাস চলাচল করে। এছাড়া নারীট, ডিহিভুরসুট, পাঁচারুল সহ বেশ কয়েকটি রুটের ৫০টির মতো বাস ৪০-৫০ কিমি দূরত্বে চলাচল করে। বাসগুলি একদিনে দুটি টিপ কোথাও আবার আড়াই টিপ হয়। করোনা আতঙ্ক এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। মানুষ বের হতে চিন্তিত। তেল খরচ তো আর কমছে না। সমস্যা জিইয়ে বাস চালানো মুশকিল। এভাবে চলতে থাকলে সপ্তাহ শেষে সিকিভাগ বাস রাস্তায় দেখা মিলবে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

বৃহস্পতিবার বাস কন্ডাক্টর ও চালকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার সচেতনতায় জয়পুরে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মিঠুন মাইতি সহ আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা। পাঁচলা এলাকাতেও অটো চালকদের স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয় সচেতনতা জানান হয় রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। একটি সংস্থার পক্ষ থেকে বালটিকুরি এলাকায় কিছু টোটো চালকদের মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে উলুবেড়িয়া পুরসভার উদ্যোগে লন্ডন থেকে ফেরা দু’জন ব্যক্তিকে উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশপাশি হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালে বিদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তির ওখানে চিকিৎসা চলছে। সূত্রের খবর, জেলাশাসক মুক্তা আর্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত খবর পেলে স্বাস্থ্য দফতর দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যে কারণে পুরোপুরি করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে চালু করা হয়েছে ঘুসুড়ির সত্যবলা আইডি হাসপাতালকে।

There is no slider selected or the slider was deleted.