এই মুহূর্তে জেলা

দেবানন্দপুরে অস্থায়ী রেডিও স্টেশন বানিয়ে , জন্মদিনে শ্রদ্ধা বেতার যন্ত্রের স্রষ্টাকে।

হুগলি, ৩০ নভেম্বর:- ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব থেকে হ্যাম রেডিওর সদস্যরা আজ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর ১৬৮ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানান অস্থায়ী রেডিও স্টেশন বানিয়ে। ভার্টিক্যাল এন্টেনা ও রেডিও ট্রান্সমিটার বা হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও নিজেরাই তৈরী করে দেশের বিভিন্ন রাজ্য বিদেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন দেবানন্দপুর থেকে। ঘরে বসে রেডিও যোগাযোগ করাই যায় কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামে প্রকৃতির মাঝে থেকে কিভাবে যোগাযোগ সম্ভব। সেটা দেখতেই রেডিও স্টেশন করে পরীক্ষা করেন। হ্যাম রেডিওর সদস্য অরুনাভ দে বলেন, হাই ফ্রিকোয়েন্সী রেডিও দিয়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় খুব ভালো কাজ করা যায়। ফোনি থেকে আয়লা, আমপান, যশের মত ঘূর্নিঝড়ে যখন গাছপালা বিদ্যুৎ এর খু্ঁটি ভেঙে পরে মোবাইল টাওয়ার কাজ করে না, এক কথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন এই রেডিও স্টেশন কার্যকরি হয়।

ঘূর্নিঝরের পূর্বাভাস পেলেই সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় চলে যায় হ্যাম রেডিওর সদস্যরা তাদের সাহায্যে উদ্ধার হয় বহু মানুষ। বিদেশে যেসব যন্ত্রের দাম কয়েক লক্ষ টাকা। নিজেরাই খুব অল্প খরচে বাড়িতে বানিয়ে দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছেন হ্যাম রেডিওর সদস্যরা। এদিন কাতার, চায়না, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল সহ ভুবনেশ্বর তেলেঙ্গানা, চেন্নাই, কলকাতা তেহট্টর হ্যাম রেডিওর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। গোটা পৃথিবীতে হ্যাম রেডিওর অপারেটর আছে। দেশ বিদেশে হারিয়ে যাওয়া মানুষকে তাদের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজও করছে তারা। পৃথিবী অনেক এগিয়েছে, বলা ভালো অনেক ছোটো হয়ে মুঠোফোনে বন্দী হয়ে গেছে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে মজে আছে বর্তমান প্রজন্ম। কিন্তু প্রকৃতিক দূর্যোগ এলে বোঝা যায় রেডিওর উপযোগীতা। সেই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে রেডিও নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন হ্যামের সদস্যরা।