এই মুহূর্তে জেলা

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে শিশুর ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করাতে ভেলোরে পাড়ি আরামবাগের দম্পতির।


মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২২ নভেম্বর:- ছোট শিশু মা ও বাবার কোলে কোলে কখনও ঘুরে বেড়ায় আবার কখনও দাদু ঠাকুমা এবং পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের কোলে থাকে।সারা বাড়ি আনন্দে মাতিয়ে রাখে শিশুটি। হঠাৎ পরিবারের বুকে নেমে আসে বিপর্যয়। বিধাতার নিষ্ঠুর পরিহাসে শিশুটির ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। সারা নীল আকাশ যেন কালো মেঘে ঢেকে যায়। দরিদ্র এই পরিবার কি ভাবে এই শিশুটির চিকিৎসা করাবে তারা। ঘটনাটি ঘটছে হুগলি জেলার আরামবাগ ব্লকের গৌরহাটি দুই নম্বর অঞ্চলে। অসুস্থ শিশুটির নাম ইশান ভট্টাচার্য (৪)। বাবা পাপন ভট্টাচার্য এবং মা ইশানী ভট্টাচার্য। অতন্ত্য দরিদ্র পরিবার। শিশুর ব্রেন টিউমার অপারেশন তথা চিকিৎসা করাতে প্রায় দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা লাগাবে। ভেলোরে চিকিৎসা করাতেই হবে। এই রখম এক পরিস্থিতিতে দিশাহারা অবস্থা গৌরহাটির দরিদ্র এই ভট্টাচার্য পরিবারটির। এই সময় দেব দুতের মতো স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর বার্তা নিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন হুগলি জেলার আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দিপক মাঝি। তরিঘরি চার বছরের শিশুটির নাম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করেন তিনি। জানা গিয়েছে,

শিশুটির দাদুর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় সেই কার্ড শিশুটির নাম তোলার জন্য আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত নাম নথিভুক্ত করে এদিনই ভেলোর পাঠানোর ব্যবস্থা করেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দিপক মাঝি। এই বিষয়ে দিপকবাবু বলেন, মাত্র চার সারে চার বছরের বাচ্চার ব্রেন টিউমার ধরা পড়েছে। ওর চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করে আজই ভেলোরে পাঠানো হচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য পরিসেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালু করেছেন। ভেলোরে এই কার্ডে বহু মানুষ চিকিৎসা করিয়েছেন। আশা করি কোনও অসুবিধা হবে না। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাবো। পাশাপাশি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা শিশুটির উপযুক্ত চিকিৎসা হয়ে যেন ভালো হয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। অন্যদিকে শিশুটির মা ইশানী ভট্টাচার্য জানান, ছেলের ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করাতে দশ বারো লক্ষ টাকা খরচ। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করাতে আমরা এসডিও অফিসে এসেছি। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিপক মাঝি এই ব্যাপারে সাহায্য করছেন, যাতে আমরা আজই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ভেলোর যেতে পারি। সবমিলিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ছোট শিশুর ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করাতে ভেলোরে পাড়ি আরামবাগের এক দরিদ্র দম্পতির।