কলকাতা, ১৬ নভেম্বর:- রাজ্য লটারি বর্তমানে বন্ধ থাকায় ডিরেক্টরের কর্মীদের অন্যত্র কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এইসব কর্মীদের অর্থ দপ্তরের অন্যান্য ডিরেক্টরেটে পাঠানো হচ্ছে। লটারি ডিরেক্টরেট প্রধান কাজ ছিল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন লটারি পরিচালনা করা। কিন্তু ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারির পর রাজ্য সরকারের আর্থিক পুরস্কারের লটারি অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে এই ডিরেক্টরেটের কর্মীদের কাজ বিশেষ নেই। তাই তাঁদের অন্যত্র কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই বিভাগে সব মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা ২৭ জন। প্রথম দফায় তিনজন ইউডিসি-কে অর্থদপ্তরের রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে বদলি করা হয়েছে। হেড ক্লার্ক ও অ্যাকাউন্ট্যান্টকে পাঠানো হয়েছে পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রুপ ইন্সিওরেন্স ডিরেক্টরেটে। লটারি ডিরেক্টরেটের আরও কর্মীকে বদলি করা হতে পারে।
আর্থিক পুরস্কারের লটারি ছাড়াও সরকারি স্কুলে ভর্তি ও সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য লটারির আয়োজন করত এই ডিরেক্টরেট। আয় মূলত হতো আর্থিক পুরস্কারের লটারি থেকে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে লটারি থেকে নিট আয় হয়েছিল ২২৩ কোটি টাকা। তার আগের বছরগুলির তুলনায় আয় অনেকটা বেশি হয়েছিল। ২০১৭-১৮ সালে আয় ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা। দৈনিক লটারির আয়োজন করার জন্য আয় এতটা বেড়েছে। পুনরায় লটারির আয়োজন করে সরকারের আয়ের সুযোগ সৃষ্টির দাবি উঠেছে কর্মী মহল থেকে। কিন্তু সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, নিজে লটারির আয়োজন না করলেও ভিন রাজ্যের লটারি এখানে বিক্রির উপর জিএসটি থেকেও সরকারের প্রচুর আয় হচ্ছে। ভিন রাজ্যের লটারির উপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য হয়। এর থেকেই মূলত আয় বেড়েছে সরকারের।