এই মুহূর্তে জেলা

আজ থেকে হৈমন্তীকার আরাধনায় রিষড়াবাসী।

তরুণ মুখোপাধ্যায়, ১৩ নভেম্বর:- তিনদিন ধরে এখানকার জগদ্ধাত্রী উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। হুগলি জেলার উত্তর প্রান্তে যখন বিদায়ের সুর তখন চন্দননগরের অনতিদূরে রিষড়ায় শিল্পাঞ্চলের মানুষ মেতে উঠেছেন জগদ্ধাত্রী বন্দনায়।। আজ নবমী এদিন থেকেই শুরু হচ্ছে রিষরায় জগদ্ধাত্রী উৎসব। এ বছর এখানকার পূর্বে এবং পশ্চিম রেল পাড় মিলিয়ে প্রায় ১০০টির মত পুজো হচ্ছে। কৃষ্ণনগরকে বাদ দিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হয় হুগলির রিষড়ায়। এখানকার বিশাল বিশাল প্যান্ডেল অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিমা এবং আলোর কারুকার্য দেখতে প্রচুর মানুষ এসে উপস্থিত হন শিল্প শহর রিষরায়।

পুর এলাকার মানুষ ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মিলিত হন মায়ের আরাধনায়। ইতিমধ্য অনেক পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেছে গতকাল। আজ থেকে টানা চারদিন এখানকার মানুষ উপভোগ করবেন এই উৎসব। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপের ফিনিশিং টাচ এর কাজ প্রায় শেষের পথে। এখানকার অলিগলি ইতিমধ্য আলোক মালায় সেজে উঠেছে। রিষরায় উল্লেখযোগ্য পুজোর গুলির মধ্য রয়েছে বাঙ্গুর পার্কের পার্ক সম্মিলনী, লেনিন মাঠ, পার্ক তরুণ দল, তেঁতুলতলা রবীন্দ্র সংঘ, পিটি লাহা স্ট্রিট, তিনের পল্লী, দেওয়ানজি স্ট্রিট, চারবাতি, কোরাস অনাথ আশ্রম,

টিসি মুখার্জি স্ট্রীট ব্রহ্মানন্দ মাঠ, নিউ বর্ণালী চক্র, বাগপাড়া, নিউ তরুণ দল, দাসপাড়া ভাই ভাই সংঘ, মোড়পুকুর প্রভৃতি পুজো দর্শকদের আকর্ষণ করবে তা বলাই বাহুল্য। এক কথা বলতে গেলে রিষড়ার মানুষ আজ থেকে জগদ্ধাত্রী উৎসব পালন করার জন্য প্রস্তুত এদিন সন্ধ্যে থেকেই পণ্ডক মণ্ডপে মণ্ডপে আছড়ে পড়বে মানুষের জনজোয়ার। অন্যদিকে এত বড় উৎসব এত মানুষের আগমন তার ওপর রয়েছে মহামারীর ভ্রুকুটি এগুলো সামলাবার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন।