এই মুহূর্তে জেলা

চাকুরী প্রার্থীদের বিক্ষোভ খানাকুলে।


হুগলি, ৮ নভেম্বর:- উচ্চ শিক্ষাদফতরের নির্দেশ ছাড়া কোনো প্রকার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ না করার নির্দেশ থাকলেও সেই নির্দেশাবলীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হুগলি জেলার খানাকুলের রাজা রামমোহন রায় মহাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন অস্থায়ী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করার খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মহকুমাজুড়ে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক বিক্ষোভ চাকুরী প্রার্থীদের। অবশেষে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিলো কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন? কলেজের এই কর্মী নিয়োগে শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে যায়। অভিযোগ কলেজ পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে শাসক দলের বিশেষ করে আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দারের ঘনিষ্ঠ নেতা ও কর্মীদের নাকী বেচে বেচে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। এই ঘটনা জানা জানি হতেই কলেজের মধ্যে বিক্ষোভ ও অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ চাকুরি প্রার্থীরা। তাদের দাবী, এই নিয়ে রাজা রামমোহন রায় মহাবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিলো কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সামনে আসতেই অসস্তিতে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ।অভিযোগ শিক্ষাদফতরকে অন্ধকারে রেখে কলেজ পরিচালন কমিটি গোপনে এই নিয়োগ করতে চলেছে। তাই চাকরীপ্রার্থীরা সোমবার দুপুরে কলেজের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নামেন। এই বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবী, নিয়োগের জন্য শতাধিক ফর্ম জমা নেওয়া হলেও কাউকে কিছু না জানিয়ে নিয়োগ করতে চলেছে কলেজ পরিচালন সমিতি।

শাসকদলের নেতাদের ঘনিষ্ট, প্রধানত আরামবাগ সাংসদ তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি অপরুপা পোদ্দারের অনুগামীদের অবৈধভাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে যে প্লাকার্ড ছিলো তাতে বড়ো করে লেখা রয়েছে, অপরুপা পোদ্দার রামমোহন কলেজে যাদের নিয়োগ করছেন তারা হলো, ১) অপরুপা পোদ্দারের পি.এ চিন্ময় সামন্তের স্ত্রী, ২)অপরুপা পোদ্দারে আত্নীয়ের স্বামী, ৩) ঘোষপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হায়দার আলির স্ত্রী – সুমাইয়া খাতুন। ৪)কলেজের হেড ক্লাক বিশ্বজিৎ মুখার্জীর (সিপিএমের হার্মাদ) মেয়ে শ্বেতা মুখার্জী। এই বিষয়ে নিবেদিতা সাউ বলেন, আমরা আবেদন করেছিলাম। সাধারণ প্রার্থীদের কাউকে ডাকা হয়নি। শুধু মাত্র চারজনকে ডাকা হয়। তাই আন্দোলন শুরু করি। অবশেষে আবার নোটিশ দিয়ে কর্মী নিয়োগ স্বগিত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একদিকে স্বজনপোষণের অভিযোগ ও অন্যদিকে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্যের জোড়া চাপে রীতিমত নাজেহাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনাপ্রসঙ্গে রামমোহন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দীপক ভার্গবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন,বেআইনি ভাবে রাজা রামমোহন কলেজে নিয়োগ করতে চেয়েছিলো এখানকার সাংসদ।ধরা পড়ে গেছে।তাই স্বগিত করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করবো।