সুদীপ দাস, ৩ নভেম্বর:- রাজ্য হেরিটেজ দপ্তরের আওতাভুক্ত হলেও সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে হুগলীর ঐতিহাসিক ইমামবাড়ার আজ বেহাল দশা। জেলাশাসকের বাসভবন লাগোয়া ইমামবাড়া ভবনের পলেস্তারা খসে পরছে। দ্বিতল বিশিষ্ট অংশ বিপদজনক হওয়ায় বসবাস বন্ধ হয়েছে বহুদিন হলো। দ্বিতলের একটি অংশে ছাদও উধাও হয়েছে। এই বিপদজনক অংশ থেকে যখন তখন ইট খসে পরছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। মঙ্গলবার ওই অংশ ভেঙে পরে বলে খবর ছড়িয়ে পরে। এরপরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও রক্ষনাবেক্ষনের কাজ কিন্তু অব্যাহত রয়েছে ইমামবাড়ায়। তবে গতিহীন সেই কাজে একদিক গড়ছে তো অন্যদিক ভাঙছে। বছর দুয়েক আগে ইমামবাড়ার চূড়ার অংশে সাদা রং চেপেছে। কিন্তু রোদ-জলে সেই রং বর্তমানে কালো হতে বসলেও ভবনের নীচের অংশে রং-এর প্রলেপ পরেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ হওয়ায় দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীনের উদ্যোগে তৈরী ঐতিহাসিক ইমামবাড়া ক্রমশ ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইসলাম হোসেন ইমামবাড়া রক্ষার্থে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবী করেন। এবিষয়ে হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রশাসক অমিত রায় বলেন ইমামবাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কথা শুনেছে। আমরা অবিলম্বে হেরিটেজ দপ্তরকে বিষয়টা জানাচ্ছি। ইমামবাড়ার একাংশ ভেঙে পরেছে খবর পেয়ে এদিন বিকেলেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন হুগলীর পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ পুর কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থল থেকেই এদিন জেলাশাসককে ফোন করে বিষয়টি জানান বিধায়ক। বিধায়ক বলেন হেরিটেজ দপ্তর কাদেরকে টাকা পাঠায় বা ইমামবাড়া সংস্কারের কাজ কোন পদ্ধতিতে হচ্ছে আমার জানা নেই। আমি আগামীকালই চিঠি দিয়ে হেরিটেজ কমিশনকে কাজের জন্য টাকা হয় হুগলীর পূর্ত দপ্তর নয়তো পৌরসভাকে পাঠাতে বলবো। যাতে কাজটি অতি দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।