কলকাতা, ২৪ অক্টোবর:- রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ফের কঠোর হাতে হাল ধরল প্রশাসন। রাতের বিধি নিষেধে কড়াকড়ি বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কোভিদ আচরণবিধি মেনে চলার ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলির পরিস্থিতি বেশি করে আশঙ্কা জাগানোয় এই সব এলাকার ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে সবথেকে বেশি। মুখ্য সচিব শনিবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে করোনা বিধি কঠোরভাবে লাগু করার নির্দেশ দেন। বৈঠকে উপস্থিত কলকাতার পুলিশ কমিশনার কে সহরে নৈশ বিধি নিষেধ নিয়ে কড়াকড়ি, হোটেল রেস্তোরা নিয়ম মেনে খোলা, সাধারণ মানুষ মাস্ক স্যানিটাইজার ঠিকমতো ব্যবহার করছেন কিনা তা দেখার জন্য মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন। এর পরেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। পুজোর জন্য ছাড় শেষ হবার পর বৃহস্পতিবার থেকে ফের বলবৎ হয়েছে রাত্রিকালীন নিয়ন্ত্রণ। নাগরিকরা তা যথাযথভাবে মানছেন কিনা তা দেখতে রাতে পুলিশ কর্তারা পথে নামছেন। শনিবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশকে নাকা তল্লাশি চালাতে দেখা যায়শনিবার থেকেই কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ফেরানো হয়েছে।
একই সঙ্গে এই জেলাগুলিতে রাতের বেলা নাইট কার্ফু থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় বার হওয়ার জন্য নাকা চেকিং চালু করেছে পুলিশ। সেখানে আটক করার পাশাপাশি মোটা টাকা জরিমানাও করা হচ্ছে বেপরোয়া মনোভাবের মানুষদের ক্ষেত্রে। একই সঙ্গে ফেরানো হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও। বলা হয়েছে রাজ্যের কোনও প্রান্তেই রাত সাড়ে ১০টার পরে আর কোনও হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না। সকাল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যখন খোলা থাকবে হোটেল ও রেস্তোরাঁ তখন ৫০ শতাংশ আসন বিধি মেনে চলতে হবে। এরই পাশাপাশি জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের জোর দিতে। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলে যাতে তা মেনে চলেন সেই দিকেও কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে। রাস্তায় যেভাবে মাস্কহীন মুখের সংখ্যা বড়ছে তা রীতিমত উদ্বেগজনক। প্রয়োজনের জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাস্তায় নেমে মাস্কহীন মুখদের মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে। তবে নবান্ন সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলে রাজ্যে নতুন করে লকডাউনের মতো কড়া বিধিনিষেধ ফেরার সম্ভাবনা নেই।