এই মুহূর্তে জেলা

মৃত্যুবার্ষিকীতে শিক্ষাসামগ্রী প্রদানের মধ্য দিয়েই স্বামীর ইচ্ছাপূরণ স্ত্রীর !

সুদীপ দাস, ২৪ অক্টোবর:- ২০০৯ সালে পরিবারের সাথে ঘুরতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসা হয়নি চুঁচুড়ার বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র দাসের। মুম্বই থেকে ফিরে আসার পথে ট্রেনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। নাগপুরে স্টেশনে নামিয়েও কোন লাভ হয়নি। সেখানেই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছিলেন রমেশবাবু। স্বামী যে চাকরি ও পরিবার সামলে সমাজসেবার কাজেও যুক্ত থাকতেন তা জানতেন না রমেশবাবুর স্ত্রী মৌসুমী দাস ও কন্যা রুমিতা দাস। রমেশবাবুর প্রয়ানের পর বহু চেনা-অচেনা মানুষের কাছ থেকে সে কথা জানতে পেরেছেন তাঁরা। এরপরই প্রয়াত স্বামীর ইচ্ছাপূরণের মধ্য দিয়ে তাঁকে

সকলের মাঝে বাঁচিয়ে রেখেছেন মৌসুমী ও রুমিতা। প্রতি বছর ২৪শে অক্টোবর রমেশবাবুর মৃত্যুদিবসে সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা। গতবছর কোভিড আবহে কোভিড যোদ্ধাদের হাতে চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দিয়েছিল দাস পরিবার। এবারে হুগলী স্টেশনের কাছে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পরা শতাধিক পড়ুয়াদের হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হল দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। সহযোগীতায় ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ব্যান্ডেল-মগরা বিজ্ঞান কেন্দ্র। মৌসুমীদেবী বলেন স্বামীর ইচ্ছাপূরণ করতেই এই উদ্যোগ। অন্যদিকে বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষে সন্দীপ সিংহ বলেন যাদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা জাগবে তাঁরাই মৃত্যুবার্ষিকীতে ধর্মীয় রিতীর আয়োজন না করে সাধারনের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগী হবে।