মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২১ অক্টোবর:- লক্ষ্মী পূজো জাঁকজমক ভাবে অনুষ্ঠিত হয় হুগলির তারকেশ্বর ব্লকের রানা বাঁধে। বলাই বাহুল্য বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব হলেও তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর অঞ্চলের বেশকিছু গ্রাম মেতে ওঠেন লক্ষী বন্দনা। এইখানে দুর্গাপূজার থেকেও লক্ষ্মী পূজা উৎসব হিসেবে পালন করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাই এলাকায় এ বছর করোনা কে কিছুটা কাটিয়ে লক্ষ্মী পুজো নিয়ে ব্যস্ত এখানকার বাসিন্দারা। সারা গ্রাম জুড়ে এখন লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে ব্যস্ততার ছবি। বাংলার মানুষ যখন দুর্গাপূজা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তখন নাইট আমাল পাহাড়পুর অঞ্চলের রানাবাদ, বেরেবাধ, নয়টা গ্রামের মানুষজন ব্যস্ত লক্ষ্মী পুজো নিয়ে। এইখানে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ১৬ টি ক্লাব লক্ষ্মী পূজার আয়োজন করেন। এর প্রস্তুতি শুরু করে দেয় দুমাস আগে থেকেই। প্রতিটি ক্লাবের সদস্যরা তৈরি করেন প্রতিমা। নিজেরাই তৈরি করেন পূজা মন্ডপ। প্রতিটি লক্ষ্মী পুজোর মণ্ডপে থাকে থিমের বৈচিত্র যা চোখে পড়ার মতন।
গত ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে এই কয়েকটি গ্রামে। বেলেবাদ মনসা মাতা ক্লাব এর পুজো এবারে প্রায় ৩৭ বছরে পদার্পণ করল। এই মন্ডপে থিমের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া গেল। অন্যদিকে বেলে বদ নেতাজী সংঘের পূজো ৪৫ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। বেলে বদ রবীন্দ্রসঙ্গীত পুজো ২৮ বছরে পদার্পণ করল। নায়িকা উত্তরপাড়া লক্ষ্মী পুজো কমিটির পুজো এবছর ৩৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল। এই সমস্ত পূজা গুলি খুব ধুমধাম সহকারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে এইখানে ছয় দিন ধরে চলে মেলা। কিন্তু গত বছর করণা পরিস্থিতিতে সেরকমভাবে মেলা বসেনি। এ বছরও সেরকমভাবে জাঁকজমক মেলা হচ্ছে না। লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে এইখানে মেলা দেখতে আসেন বহু মানুষ। শুধু এই জেলায় নয় অন্যান্য জেলা থেকে ভিড় জমান লক্ষী পূজা উপলক্ষে এই মেলায়। এবছর কিছুটা করোনাকে কাটিয়ে লক্ষ্মীপূজো মেতে ওঠেছে তারকেশ্বর ব্লকের রাঁনাবাদ এলাকা।করোনা বিধি মেনে পুজো উপলক্ষ্যে মেলা না বসায় এলাকার মানুষের মধ্যে হতাশা থাকলেও প্রতিমা দর্শনে বেশ ভির দেখা যাচ্ছে।