এই মুহূর্তে কলকাতা

পুজোর মুখে করোনা নিয়ে আরও একবার মানুষকে সতর্ক করে দিল স্বাস্থ্য দফতর।

কলকাতা, ৯ অক্টোবর:- পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে ইতিমধ্যেই।রাস্তায় নেমেছে আনন্দ মূখর মানুষের ঢল। এমত অবস্থায় উৎসবে মেতে ওঠার আগে কোভিডের বিপদ সম্পর্কে আরও একবার রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে একগুচ্ছ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সেই সতর্কবার্তায় উৎসবের মরশুমে কোনও রকম জমায়েত বা শোভাযাত্রা করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিড় এড়িয়ে প্রতিমা দর্শনের। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বিধি যেন অবশ্যই বজায় রাখা হয়। বিরত থাকতে বলা হয়েছে দল বেঁধে সিঁদুর খেলা থেকে। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী ও অসুস্থদের ভিড় থেকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে বাইরে গেলে মাস্ক অনিবার্য। ঠাকুর দেখা, আড্ডা, পেটপুজোর ফাঁকে ঘন ঘন সাবান-জল বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। কেউ যদি কাশি, সর্দি, জ্বরে আক্রান্ত হন, তাঁরা যাতে ঘরের বাইরে না যান, সে বিষয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই দুর্গা পুজো নিয়ে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলা সহ সমস্ত আচার-উপচার করতে পারবে পুজো কমিটিগুলি। তাতে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের সবার করোনার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকতেই হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলার সময় কারা প্যান্ডেলের মধ্যে থাকবেন, তার তালিকা আগে থেকে তৈরি রাখতে হবে। বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে তৈরি করতে হবে ৬০ জনের নামের তালিকা। সেই তালিকা থেকে একসঙ্গে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন সর্বাধিক ৪৫ জন। আর ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে তৈরি করতে হবে ১৫ জনের নামের তালিকা। সেই তালিকা থেকে একসঙ্গে ঢুকতে পারবেন সর্বাধিক ১০ জন। নিয়ম মানা না হলে পুলিশ পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুজো কমিটিগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বড়পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপ থেকে ১০ মিটার এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত নো এন্ট্রি জোন। নো এন্ট্রি জোনে কোনওভাবেই ঢুকতে পারবেন না দর্শকরা। অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলার আয়োজন করতে হবে আদালতের নির্দেশ মেনে।