হুগলি, ৫ অক্টোবর:- বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য দুই গাড়ি ত্রান নিয়ে হুগলির আরামবাগে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরামবাগের বন্যা নিয়ে এবং ঘাটাল মাস্টার প্লান নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। রাজ্যের দলনেতা হিসাবে তিনি দায়িত্বের সাথে বলেন,আরামবাগে বন্যা পরিদর্শনে এসে মাননীয়া বড়ো বড়ো কথা বলেছেন। আপনারা জানেন কি। আরামবাগের বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে মাস্টার প্লান রাজ্য সরকার তৈরি করেছে তাতে আরামবাগ মহকুমাকে বাদ রেখে করা হয়েছে। এই মারাত্মক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি ত্রান বিলি নিয়ে শাসক দল তৃনমুলের দলবাজীর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ত্রান বিলি নিয়ে তৃনমুল অন্তত্য সংকীর্ন রাজনীতি করছেন। বিজেপি কর্মীদের ত্রান দেওয়া হচ্ছে না।
বামফ্রন্টের সময় এই রখম সংকীর্ণ রাজনীতি দেখিনি।এটা আমাদের বড়ো অভিযোগ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরের তিনি বলেন, বন্যার সময় প্রশাসন ছবি তুলতে ব্যস্ত। ত্রান নেই। একটা দেউলিয়া সরকার। পানীয় জল নেই। নদীর জল ফুটিয়ে খেতে হচ্ছে। আশা করি এই ব্যাপারে প্রশাসন সক্রিয় হবে।ম্যাড মেড বন্যা প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, নিজের দায়িত্ব থেকে এড়িয়ে যাবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই সব বলছেন। উনি তো ভবানিপুর উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অথচ বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে রাজ্যে ১৪ জন মারা গেছেন। একটা ট্যুইট পযন্ত করে সমবেদনা করেননি। ডিভিসি একেবারে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে। গত ২৮ তারিখ জল ছাড়ার আগে রাজ্য সরকারকে ৭২ ঘন্টা আগে লিখিত জানিয়েছে। সব জেলার শাসককে জানানো হয়েছে। কিন্তু জনগনকে সতর্কতা থেকে শুরু করে নিচু জায়গার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং বাঁধ শক্ত করা সহ কোনও কাজ এই অপদার্থ সরকার ও প্রশাসন করেনি।
এটা আমাদের অভিযোগ। সেচ দপ্তরকে ব্যর্থ বলে দাবী করেন শুভেন্দু। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে দুটি দপ্তর। একটা কাটমানি দপ্তর আর একটা ভাতা দপ্তর। উনি জানেন ভাতা দিলেই ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি হবে। তাই মুরগি, ছাগলের ছানা, জাল, হাঁড়ি দিয়ে ২০০ ও ৫০০ টাকা ভাতা দিয়ে এই রাজ্য ক্ষমতায় থাকতে চান। পাশাপাশি আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা নিয়ে বলেন, আমরা পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শুকনো ডাঙ্গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, হঠাৎ করে জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলে গেলেন। বন্যার্থ মানুষের সাথে কথা বলেননি। সরকারের ব্যর্থতাকে এড়িয়ে গিয়ে ডিভিসির ঘাড়ে দোষ চাপালেন।সব মিলিয়ে এই ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরামবাগের বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রান বন্টন থেকে বন্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।