এই মুহূর্তে জেলা

পুরুষদের পাশাপাশি সমান তালে ঢাকের বোল তুলতে ব্যাস্ত আরামবাগের মহিলা ঢাকিরাও।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১২ সেপ্টেম্বর:- পুরুষ ঢাকিদের পাশাপাশি সমান তালে ঢাকের বোল তুলতে দেখা যায় হুগলির আরামবাগ থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে অবস্থিত সালেপুরের মহিলা ঢাকিদের। একেবারে দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়েই মহিলা ঢাকি পাড়া। প্রায় ১৫ টি পরিবারের মহিলারা ঢাক বাজানোর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু গত দুই বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছে তাদের। উৎসবের মরসুম এলেই তাদের মুখে হাসি ফোটে। তবে এই বছর উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গেলেও এখনও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর বায়না সেই ভাবে না আসায় হতাশায় দিন কাটছে তাদের। কিভাবে দুর্গাপুজোয় ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি ফোটাবে তারা, দুশ্চিন্তায় অস্থির তারা। জব কার্ডে কাজ করে কোনোরকমে চলছে।এমনই জানালেন অপর্না মন্ডল নামে একজন মহিলা ঢাকি। জানা গেছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই মহিলা ঢাকিরা বাজাতে যান। কিন্তু এই বছর সব যেন লন্ডভন্ড। কি হবে। কি হবে রব। এ বার কি আদৌ ঢাক বাজিয়ে রোজগার কিছু হবে? আদেও কি ঢাকে কাঠি পড়বে?

করোনা-পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নগুলো গভীর হচ্ছে পাশাপাশি প্রশ্নটাও তত প্রাসঙ্গিক হচ্ছে আরামবাগের মহিলা ঢাকিপাড়ায়। আশা সব সময়ই মানুষের জীবনকে গতিপ্রাপ্ত করে। দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে যেমন কাশ ফুল জানান দিচ্ছে পুজো আসছে তেমনি মহিলা ঢাকি পাড়ার ঢাকের বোলও, আশা জাগাচ্ছে তাদের, বায়না নিশ্চয়ই হবে। হাসি ফুটবে ছেলে মেয়েদের মুখে। এই আশাকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছেন আরামবাগের মহিলা ঢাকি পাড়ার পরিবারগুলি। তবে এই মহিলা ঢাকিদের ঢাক বাজানোর দক্ষতা অসাধারণ। ছয় থেকে সাতটি স্কিলকে সামনে রেখে ঢাকের তালে বোল তোলে তারা।দেবী দুর্গার আরাধনার সময় অসাধারণ ঢাকের বোল যেন মন্ত্র মুগ্ধ করে সবাইকে।তবে করোনা পরিস্থিতিতে এই মহিলা ঢাকি পাড়ার মানুষগুলো কেমন আছেন,জানতে চাইলে ছল ছলে চোখে মহিলা ঢাকিদের প্রশিক্ষক দিলীপ কুমার দাস বলেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ। বায়না আসছে না। আশা করি দেবীর কৃপায় এই পরিবারগুলিকে বাঁচাতে বায়না আসবে। ছেলে মেয়েরা হাসিমুখে মন্ডপে ঠাকুর দর্শন করতে পারবে।