আরামবাগ, ৭ সেপ্টেম্বর:- ফের তৃনমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তাল আরামবাগ। একপক্ষের অভিযোগ প্রধান পকেটে করে ছুরি এনে আঘাত করেছে এক তৃনমুল কর্মীকে। অন্যদিকে তৃনমুল প্রধানের অভিযোগ অফিসে থাকাকালীন দলবল নিয়ে যুব তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি পলাশ রায়ের অনুগামীরা মারধর করে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বাতানল পঞ্চায়েতে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে বাতানল পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ মোহাম্মদ হোসেন ও পঞ্চায়েত প্রধান দিলিপ রায় বনাম শাজাহান আলি তথা পলাশ রায়ের অনুগামীদের মধ্যে মারপিট হয়। ঘটনায় আহত তিন জন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। এই বিষয়ে বাতানল পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় জানান, অফিসে বসে কাজ করার সময় পলাশ রায়ের গুন্ডাবাহী হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করা হয়। তোলা দেওয়া হয়নি বলে পুরানো কর্মীদের যুব তৃনমুল সভাপতি পলাশ রায় ইচ্ছা করে দলবল পাঠিয়ে মারধর করছে।
অন্যদিকে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনোধর খাঁড়া জানান, অফিসে কাজ করার সময় প্রধান দিলীপ রায়কে মারধর করা হয়। যারা মারধর করেছে তাদের শাস্তি চাই। অপরদিকে পলাশ রায় ও শাহজাহান আলির অনুগামী ইয়াকুব রহমান সরকার জানান, এদিন পঞ্চায়েত অফিসে সবুজ মালা প্রকল্পের গাছ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে আলোচনার জন্য যাওয়া হয়। কিন্তু প্রধান দিলীপ রায় বচসা চলাকালিন পকেট থেকে ছুরি বার করে শাহজাহান আলিকে আঘাত করে। পুলিশ গিয়েছিলো। তবে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি জানান, সবুজ মালা প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। বিডিওকে বলা হয়েছে। যদি মারপিটের ঘটনা ঘটে তা পুলিশ দেখবে। এদিন বাতানলে মারধরের ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনোধর খাঁড়া, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শুনিল সামন্ত সহ অন্যান্যরা। সবমিলিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খোদ পঞ্চায়েত অফিসে হামলা তৃনমুলের একাংশের।